মহানগর ডেস্ক: বাড়িতে কারোকে কিছু না বলে অন্যত্র রাত্রিবাস করেছে মেয়ে। সেই রাগে নিজের ১৬ বছরের মেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে দেহ বাইকে দড়ি বেঁধে গ্রামের রাস্তায় টানতে টানতে নিয়ে গেল বাবা (Father Killed Daughter)। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের অমৃতসরের মুছ্ছল গ্রামে। জানা গিয়েছে মেয়ে বাড়ির কারোকে না জানিয়ে অন্য কোথাও রাত কাটানোয় প্রচণ্ড রেগে যায় তার বাবা। তারপর তাকে খুন করে।
মেয়ের দেহ বাইকে করে গ্রামের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি হয়। তাতে দেখা যায় মেয়ের দেহ বাইকের পেছনে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাচ্ছে বাবা। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত বাউ একজন নিহাং শিখ। সে দিনমজুরের কাজ করে। গত বুধবার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সারারাত না ফেরায় প্রচণ্ড রেগে যায় বাউ। নিহত কিশোরীর মা জানায় বাড়ি ফেরার মেয়ের বাবা দরজা বন্ধ করে প্রচণ্ড মারধর করে। তারপর দরজার বাইরে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে খুন করে।
খুনের পর বাইকের পেছনে দেহ দড়ি দিয়ে বেঁধে তাকে টানতে টানতে নিয়ে যায় গ্রামের রাস্তা দিয়ে। নিহাং শিখ বাউকে বলতে শোনা যায় সে মেয়েকে খুন করার জন্য মোটেই অনুতপ্ত নয়। তার মেয়ে বাড়িতে না বলে অন্যের বাড়িতে রাত কাটিয়েছে। তার সামাজিক মর্যাদা রয়েছে। একইধরণের ঘটনায় একটি নিহাং পরিবার মেয়ে বাড়ি ফেরার পর তাকে ঘরবন্দি করে রেখেছিল। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত তার মেয়ের দেহ বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দূরে বাইকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেলওয়ে ক্রশিংয়ের সামনে ফেলে পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে ঘটনাটি জানানোর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে পেশ করার পরও সে জানায় গ্রামের অন্য অভিভাবকদের মতো সে হতে চায়নি, যারা এমন কাণ্ড ঘটালে মেয়েকে শুধু ঘরে বন্দি করে রাখে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্তের পাঁচ সন্তান রয়েছে। নিহত কিশোরী স্কুল ছেড়ে দেওয়ার আগে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিল।