মহানগর ডেস্ক: টাকা হাতাতে ইনস্টাগ্রামে মহিলা সেজে দিব্যি প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল সে ( Fraud Posed As A Woman)। পুরুষদের নগ্ন ছবি (Nude Picture) চেয়ে তা দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে মোটা অঙ্কের টাকাও হাতিয়েছিল প্রতারক। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তার জারিজুরি ধরে ফেলে পুলিশ। মহম্মদ আমন নামে মহিলা সেজে ব্ল্যাক মেল করা যুবককে পাকড়াও করা হয় বিহারের পশ্চিম চম্পারন থেকে। দিল্লির ডিফেন্স কলোনি থেকে এক ব্যক্তির কাছ থেকে অভিযোগ পায় পুলিশ। ওই ব্যক্তি অভিযোগ করেন তিনি একটি মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগের পর তাঁর সঙ্গে অনলাইনে চ্যাট করতে শুরু করেছিল। কিছুদিন চ্যাট করার পর মেয়েটি তাঁকে নগ্ন ছবি পাঠানোর অনুরোধ করে। তার কথামতো তিনি নগ্ন ছবিও পাঠান। এরপরই শুরু হয় আসল খেলা।
হোয়াটস অ্যাপে ব্ল্যাকমেল করা শুরু হয়। ব্ল্যাকমেল শুরু করার পর পাঁচবার তাকে একুশ হাজারের বেশি টাকা পাঠান তিনি। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা সাইবার ক্রাইম বিভাগকে জানায় পুলিশ। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমে অভিযুক্ত মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সিডিআর তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মোবাইল নম্বর জোগার করে সাইবার ক্রাইম বিভাগ। খোঁজ নিয়ে জানা যায় প্রতারণা টাকা ডিবিএস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছে। কারিগরি বিভাগের কর্মীরা আইপি অ্যাড্রেস চিহ্নিত করে। এরপর অভিযুক্ত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পেয়ে যায় সাইবার ক্রাইম বিভাগ। জানা যায় শাহিনবাগে অভিযুক্ত মহম্মদ আমিন থাকে। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় অভিযুক্ত স্বীকার করে সে ভুয়ো ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করে ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। কেউই ঘুনাক্ষরে জানতে পারতো না আসলে সে মেয়ে নয়, একজন পুরুষ। গল্প জমিয়ে তাদের নগ্ন ছবি চাইতো। নগ্ন ছবি পাঠানোর পর সে টাকা চেয়ে ব্ল্যাক মেল করতো। পুলিশ তার কাছ থেকে জানতে পারে সে প্রায় তেত্রিশ লক্ষ টাকা ব্ল্যাকমেল করে ডিবিএস অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিল। অভিযুক্তের হেফাজত থেকে একটি ল্যাপটপ,মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, মোডেম, চারটি ডেবিট কার্ড ও রাউটার পেয়েছে পুলিশ।
.
During questioning, the