মহানগর ডেস্কঃ কথায় আছে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যু । তেমনি এক ঘটনা ঘটলো। যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে গণবিবাহে ভাইকেই বিয়ে করলেন এক মহিলা৷ বিবাহমণ্ডপে বরের আসতে বিলম্ব হওয়াতে ভাইকেই বিয়ে করে নিয়েছেন ।
কেউ ভাবতেই পারেনি যে বিবাহ স্কিমের সুবিধাগুলি পাওয়ার জন্য কেউ নিজের ভাইকে বিয়ে করতে পারে। এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ভাই বোনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে । সরকারের আয়োজিত গণবিবাহের সময় বর ঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় একজন মহিলা তার ভাইকে বিয়ে করেন । এই মহিলা নগদ ৩৫০০০টাকা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনাটি জানাজানি হতেই, এই ঘটনার পরলক্ষ্মীপুর ব্লকের BDO অমিত মিশ্র এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ মার্চ মহারাজগঞ্জে একটি গণবিবাহের অনুষ্ঠানে এই ঘটনাটি ঘটেছে । মহিলার নাম প্রীতি যাদব, স্বামীর নাম রমেশ যাদব। মহিলার স্বামী সময়মতো অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাতে পারেননি। তার জেরে মধ্যস্বত্বভোগী তার ভাই কৃষ্ণকে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকে সরকারি সুবিধে পাওয়ার জন্য।
ওই বিবাহ স্কিমে বলা রয়েছে, বিবাহ করা দম্পতিদের ৫১০০০ টাকা দেওয়া হবে। কনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৩৫০০০ টাকা এবং দম্পতির জন্য উপহার কেনার জন্য ১০০০০ টাকা দেওয়া এবং অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য ৬০০০ টাকা নথিভুক্ত আছে এই স্কিমে। ওই স্কিমের টাকা জালিয়াতি করে আদায় করার জন্য ভাই-বোনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে ব্যার্থতার জেরে, তাই এই ঘটনার জেরে একজন গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিককেও বরখাস্ত করা হয়েছে । এমনকি ইভেন্টের আগে তাদের নথি যেই কর্মকর্তারা যাচাই করেছিলেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এইরকম বেআইনি কাজবাজ বা এরম ধরণের ভুয়ো বিয়ের প্রমাণ দিয়ে টাকা যাতে আর কেউ হাতানোর ফন্দি করতে না পারে তার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার, এই ধরনের অপরাধ রোধ করতে নববিবাহিত দম্পতিদের বিবরণ আধার কার্ডের সঙ্গে লিঙ্ক করানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যাতে পুনরায় কেউ এমন প্রতারণার পরিকল্পনা করতে না পারে বা এমন ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।