মহানগর ডেস্ক: নারকীয়, অমানবিক! মহারাষ্ট্রের নাগপুরে নাবালিকাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা, বেধড়ক মারধর এবং দিনের পর দিন অন্ধকার ঘরে তালা বন্ধ করে আটকে রেখে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা (Horrific Abuse Of A Minor Girl)ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এমন ঘটনায় শিহরিত প্রতিবেশিরা।
পুলিশ জানিয়েছে নাগপুরের আথারভা নাগরি সোসাইটির একটি পরিবার বারো বছরের এক নাবালিকাকে ঘরের কাজ করার জন্য নিয়ে এসেছিল। কিন্তু কাজ করার সময় ভুল করার জন্য তাকে জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। গরম করা বাসন দিয়ে নাবালিকাকে মারধর করে। তার গোপনাঙ্গেও আঘাত করে।
তবে এতেই ক্ষান্ত হয়নি ওই ফ্ল্যাটের মালিকেরা। বেঙ্গালুরু যাওয়ার সময় তাকে টানা চারদিন ঘর অন্ধকার করে তালাবন্ধ করে রাখে। এমন নারকীয় পরিস্থিতিতে নাবালিকা কান্নাকাটি করলে তা শুনতে পান পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনেরা। তারা দেখতে পান নাবালিকা গৃহকর্মী জানালা ভেঙে বেরোনোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। তাঁরা তাঁকে ফ্ল্যাট থেকে বের করে খাবার ও জল দেন। তারপর খবর দেন পুলিশে।
প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন ওই ফ্ল্যাটের মালিক বিদ্যুতের বিল না দেওয়ায় বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুৎ সংস্থা। চার রাত সে শুকনো বাসি রুটি খেয়ে কাটায়। এক প্রতিবেশি জানান, একদিন রাতে তাঁরা দেখতে পান নাবালিকাটি জানালা ভেঙে প্রাণপণে বেরোনোর চেষ্টা করছে। তাকে কোনওরকমে উদ্ধার করে খাবার ও জল দেওয়া হয়। এরপর গোটা ঘটনাটি পুলিশকে সবিস্তারে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে ওই নাবালিকাকে নিয়ে আসার সময় তার মালিক তার বাবা মাকে জানান তারা তাকে পড়াশোনা-সহ সমস্ত রকম সাহায্য করবে। সমাজকর্মী ও কৈলাস সত্যার্থীর চিল্ড্রেনস ফাউন্ডেশনের সঙ্গ যুক্ত শীতল পাতিল জানান আতঙ্কগ্রস্ত নাবালিকার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় তার শরীরের একাধিক জখম ও আগুনের ছ্যাঁকা দেখা গিয়েছে। তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থার আগে বর্তমানে চিকিৎসা চলছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে তারা।