মহানগর ডেস্ক : ২০ দিন বাড়িতে ছিলেন না স্ত্রী। তারপর থেকেই স্ত্রীকে নিয়ে সন্দেহ জন্মায় স্বামীর মনে। স্ত্রীর অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক চলছে, বা নতুন কোন সম্পর্কে স্ত্রী জড়িয়ে পরেছেন বলে স্বামীর সন্দেহ হয়, আর এই সন্দেহের বসেই স্ত্রী কে খুন করল স্বামী । ব্লেড দিয়ে স্ত্রী এর গলা চিরে দেন জাভেদ। শুধু স্ত্রী নয় নিজেদের ছোট্ট তিন বছরের কন্যা সন্তানের গলায় ধারালো ব্লেড চালায় অভিযুক্ত। তারপর নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলার ঘটনা। মৃত মহিলার নাম সাবরিন, অভিযুক্ত স্বামীকে জাভেদ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে । হাপুর এলাকার পিলখুয়ার বাসিন্দা জাভেদ। জাভেদের সঙ্গে সাবরিনের বিয়ে হয় কোভিড চলাকালীন । এমনকি তাঁদের দুজনের তিন বছরের ছোট্ট কন্যাসন্তানও রয়েছে । জাভেদের ভাই আনিস জানিয়েছেন তাঁর দাদ বৌদির সম্পর্ক ভালো ছিলনা। বিয়ের পর থেকেই সাবরিনকে মারধর করতেন তার স্বামী জাভেদ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে সাবরিন মাঝে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সাবরিন কুড়ি দিন পর যখন বাড়ি ফিরে আসেন, তাঁর স্বামী জাভেদ অশান্তি শুরু করেন । জাভেদের মনে ধারনা তৈরি হয় যে স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে আছে , এই সন্দেহ বসেই সাবরিনকে বেধরক মারধর করেন জাভেদ।
পুলিশ জানতে পেরেছে, মারধর করার পর ব্লেড দিয়ে সাবরিনের গলা চিরে দেন জাভেদ। ঘটনাস্থলেই সারবিনের মৃত্যু হয়। তারপরও তিনি থামেন নি। তাঁদের তিন বছরের একমাত্র ছোট্ট কন্যার গলায় ধারালো ব্লেড চালিয়ে দেন । এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এরপর তিনি নিজে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। এই ঘটনার পর জাভেদ এবং তাঁর কন্যাকে গুরুতর আহত অবস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন জাভেদ এবং তাঁর কন্যার শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক । দু’জনেই বর্তমানে দিল্লি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।