মহানগর ডেস্ক: শ্রদ্ধা কান্ডের ছায়া। ফের লিভ-ইন-পার্টনারকে খুন। শনিবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরের একটি হোটেল রুমে ৩০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি তার লিভ-ইন পার্টনার এবং তাদের তিন বছরের ছেলেকে খুন করার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছে। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
শচীন বিনোদকুমার রাউত, নাজনীন (২৯) এবং তাদের ছেলে যুগের মৃতদেহ এমআইডিসি এলাকার গজানন কলোনির কাছে অবস্থিত গোল্ডেন কী হোটেলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। হোটেলের কর্মীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন “শচীন বিনোদকুমার রাউতকে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তার লিভ-ইন পার্টনার নাজনীনকে পাওয়া গিয়েছে মাথায় আঘাত লাগা অবস্থায় সঙ্গে কাছেই রক্তের দাগ সহ একটি হাতুড়ি ছিল। যুগের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।” প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রাউত নাজনীনকে বিষপান বা শ্বাসরোধ করে হত্যার আগে হাতুড়ি দিয়ে হত্যা করেছে। এরপর তিনি আত্মহত্যা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, রাউত পেশায় একজন ট্রাক চালক। তার দুই সন্তান রয়েছে এবং তিনি বিবাহিত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে রাউত তার স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই নাজনীনের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। পুলিশ আরও জানিয়েছে, “পরে তিনি নাজনীনকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। এতে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। অবশেষে তারা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। শুক্রবার, উভয়েই ৫০০ এর স্ট্যাম্প পেপারে একটি পারস্পরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে যে তারা আলাদাভাবে থাকবে। পুলিশ তদন্তের জন্য স্ট্যাম্প পেপার বাজেয়াপ্ত করেছে।”