মহানগর ডেস্ক: ক্রাইম থিলারের চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। ছেলের বউকে পছন্দ না হওয়ায় কন্ট্রাক্ট কিলার ভাড়া করে পুত্রবধূকে খুন করালেন শাশুড়ি (Mother-In-Law Hired Contract Killers)। খুনের বাহাত্তর ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ অবশ্য অপরাধের পর্দা ফাঁস করে। গ্রেফতার করা হয় বেয়াল্লিশ বছরের শাশুড়ি-সহ দুই কন্ট্রাক্ট কিলারকে।
ওই দুই কন্ট্রাক্ট কিলার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করে পুত্রবধূকে। পুলিশ জানিয়েছে ছেলের বিয়ে মনোঃপুত ছিল না শাশুড়ির। তারপরই সে পুত্রবধূকে খুনের মতলব আঁটে। এ কাজে দুজন কন্ট্রাক্ট কিলারকে কাজে লাগায় সে। এ মাসের পাঁচ তারিখের বিকেলে ব্রিজ বিহার কলোনিতে অভিযুক্ত মহিলার ছেলে মৌসমকুমারের স্ত্রী সাতাশ বছরের সোনিকে বাড়িতে ঢুকে দুজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি গুলি চালিয়ে খুন করে। খুনিরা মোটরবাইকে এসেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
এটি ছিল মৌসমের দ্বিতীয় বিয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীকে খুনের পর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৌসম। খুনের পেছনে দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রাক্তন স্বামীর হাত থাকতে পারে বলে পুলিশকে জানায়। খুনের পর মৌসমের বাড়িতে ছুটে যান প্রবীণ পুলিশ অফিসাররা। মৌসমের বাড়িতে তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তের কাজে চারটি দল তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেন্ট্রাল নয়ডার ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন এই খুনের ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হল সোনুর শাশুড়ি গীতা দেবী। পুত্রবধূকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে সে স্থানীয় বাসিন্দা শচীন যাদব এবং উমেশ সিংকে সে এক লক্ষ টাকা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে ছেলের দ্বিতীয় বিয়েতে খুশি ছিল না গীতা দেবী। দ্বিতীয় স্ত্রীর একটি শিশুকন্যা ছিল। বিয়ের পর মায়ের বাড়ি গাজিয়াবাদ থেকে নতুন বউকে নিয়ে চলে আসে।
সেখান থেকে নয়ডার কাছে বাদলপুরে থাকতে শুরু করে। তবে তাদের নতুন ঠিকানা মৌসম কারোকে জানায়নি। অভিযুক্ত গীতা দেবীর অভিযোগ, বিয়ে করার পর তার ছেলে কোনও খোঁজখবর বা তাকে দেখভাল করছিল না। সে নতুন পরিবার নিয়েই ব্যস্ত। ইনফর্মারের কাছ থেকে খবর পেয়ে গত শুক্রবার সকাল আটটায় শচীন ও উমেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের তারা ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করে। তারপরই গীতা দেবীকে গ্রেফতার করা হয়। শচীন জানিয়েছে সেপ্টেম্বরের পাঁচ তারিখে খুনের পর সে এবং উমেশ দুরিয়াই গিরধরপুর গ্রামে একটি গাছে পিস্তলটি লুকিয়ে রাখে।