মহানগর ডেস্ক: যুবকের রহস্যমৃত্যু সুন্দরবন টুরিস্ট লজে। গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস ছিল দেহ উদ্ধারের সময়। ওই যুবকের সঙ্গিনী এই ঘটনার পর থেকে পলাতক। ঘটনার তদন্তে নেমেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।সুন্দরবন টুরিস্ট লজে দেহব্যবসা চলে,এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।যুবক-যুবতীদের লজে থাকতে দেওয়া হত পরিচয়পত্র ছাড়াই। রাকেশ মণ্ডল নামে ওই যুবক ঠিক সেভাবেই লজের একটি ঘর ভাড়া নেন।
এক মহিলাও বারুইপুরের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে ছিলেন। ছেলেটি নাম, ঠিকানা লিখেছিলেন হোটেলের রেজিস্ট্রারে। তবে মহিলা তাঁর ঠিকানা দেননি। দীর্ঘক্ষণ হোটেলের ঘর বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় কর্মীদের। ধাক্কা দিলেও তাঁরা দরজা কেউ খোলেননি। হোটেল কর্তৃপক্ষ এরপর ক্যানিং থানায় খবর দেয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। যুবককে পড়ে থাকতে দেখা যায় বিছানার উপর গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস লাগানো অবস্থায়।
এরপর,পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুবকের দেহ উদ্ধার করে। দেহটি পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।যুবকের সঙ্গিনী এই ঘটনার পর থেকে পলাতক। যুবতী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ঘটনার পর থেকে রহস্য দানা বেঁধেছে।দেদার দেহব্যবসা চলছে সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেলে। মহিলা ও পুরুষরা এখানে ভিড় জমান। ওই যুবকও সেই উদ্দেশেই লজ ভাড়া নিয়েছিল,এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।