মহানগর ডেস্ক: ইদানীং অনলাইনে খাবারের অর্ডার(Online Food Delivery Order Fraud) দেওয়ার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। যাঁদের হাতে সময় কম এবং সুস্বাদু খাবার খেতে আগ্রহী, তাঁরা অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে নামী দামি রেস্তোরাঁ সুস্বাদু খাবারে ভালো রকমের কমিশনের অফার দেয়। এরকম অনলাইনে ভালো ছাড় দিয়ে একটি রেস্তোরাঁর অফারে অর্ডার দিয়ে এক লক্ষ টাকা খোয়ালেন এক মহিলা (Woman Bank Executive Lost Money)।
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। রাজধানীর রেস্তোরাঁটি অফার দিয়েছিল একটি থালি কিনুন, আরেকটি বিনামূল্যে পান। স্বাভাবিকভাবেই এই লোভনীয় অফার আকৃষ্ট করেছিল অনেককে। আর সেই লোভনীয় অফারের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন দক্ষিণ পশ্চিম দিল্লির বছর চল্লিশেকের সবিতা শর্মা। ফেসবুকে এরকম বিনামূল্যে খাবার ডেলিভারির অফার দেখে এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি খোয়ান। সংবাদমাধ্যমের খবর, সবিতা সিনিয়র এগজিকিউটিভ পদে চাকরি করেন একটি ব্যাঙ্কে। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তিনি “একটি থালি কিনুন, আরেকটি বিনামূল্যে পান”- অফারের কথা জানতে পারেন। বিস্তারিত জানতে তিনি ফেসবুকে দেওয়া ওয়েবসাইটের লিংকটি দেখে ফোন করে অফারের খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করেন।
প্রথমবার ফোন করার পর অবশ্য কোনও সাড়া মেলেনি। কয়েক মিনিট পরে ওপার থেকে একটি ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয় জনপ্রিয় সাগর রত্ন রেস্তোরাঁ থেকে খাবারের অফা পেতে লিংকে তিনি যেন ক্লিক করে অ্যাপ ডাউনলোড করেন। অ্যাপস যাতে সহজভাবে পাওয়া যায়, সেজন্য একটি ইউজার ইমেল আইডিও পাঠানো হয়। মহিলাকে জানানো হয় তিনি যদি অফারের সুযোগ নিতে চান,তাহলে প্রথমে অ্যাপে নথিভুক্ত করতে হবে। সাগর রত্ন রেস্তোরাঁর মতো নামী রেস্তোরাঁর অফার, তাই বিশ্বাস করেই অফারের সুযোগ নেওয়ার মতো লিংকে ক্লিক করেন তিনি। তাঁকে পাঠানো ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর, এক মুহূর্তের জন্য তাঁর ফোনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফোন হ্যাক করা হয় এবং তারপরই ব্যাঙ্ক থেকে মেসেজ আসে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে চল্লিশ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
কয়েক সেকেন্ড পরেই আরেকটি মেসেজ পান তাতে জানানো হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযোগে এ কথাই জানিয়েছেন সবিতা। তিনি জানান জালিয়াতরা তাঁর ক্রে়ডিট কার্ড থেকে টাকা তাঁর পেটিএম অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। তারপর জালিয়াতদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ট্রান্সফার করা হয়। সবিতা জানান এটা খুবই আশ্চর্যের ঘটনা তিনি কখনও ফোনে যার সঙ্গে কথা হয়েছিল, তার কাছে তাঁর ক্রেডিট কার্ড ও পেটিএম অ্যাকাউন্টের তথ্য শেয়ার করেননি।
কী করে তা সম্ভব হল, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না প্রতারিত সবিতা। এই ঘটনার পরেই তিনি তাঁর ক্রেডিট কার্ড ব্লক করে পুলিশে অভিযোগ জানান। তবে সবিতাই প্রথম নন, তার আগে এরকম অনলাইনে খাবার ডেলিভারি নিয়ে অনেক প্রতারণার ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। দেশজুড়ে প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন বহু মানুষ। এদিকে সাগররত্ন রেস্তোরাঁ জানিয়েছে তারা এরকম প্রচুর অভিযোগ পেয়েছে। কোনও প্রতারক তাদের রেস্তোরাঁর নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা করে চলেছে। তারা কখনওই ফেসবুকে কোনও অফার পোস্ট করে না। মহানগর