মহানগর ডেস্ক: প্রায়ই অনলাইনে প্রতারণার শিকার (Online Scam) হচ্ছেন কেউ না কেউ। কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের জিমের মালিক জ্যোতিষী পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এক লক্ষ নিরানব্বই হাজার টাকা খুইয়েছেন। তিপ্পান্ন বছরের এক মহিলা অনলাইনে খাবারের অর্ডার (Online Order For Food) দিতে গিয়ে সাতাশি হাজার টাকা প্রতারণার শিকার হন। আরেকজন ওএলএক্স অ্যাপের মাধ্যমে জুইসার বিক্রি করতে গিয়ে এক লক্ষ চোদ্দ হাজার টাকা খোয়ান।
তবে এ ধরণের প্রতারণার সঙ্গে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। তবে এবার প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund Fraud) নিয়ে প্রতারণার জেরে আশি হাজার টাকা খোয়ালেন এক তরুণ শিক্ষিকা। বত্রিশ বছরের ওই শিক্ষিকা চাকরি করেন নবি মুম্বইয়ে। তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসের অনলাইন নম্বর খুঁজছিলেন। খোঁজাখুঁজির পর তাঁর সঙ্গে একজনের পরিচয় হয়, যে নিজেকে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসের কর্মী বলে পরিচয় দেয়।
প্রতারক তাঁকে একটি এয়ারড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে। যে অ্যাপের নম্বর প্রতারিত মহিলার নম্বরে শেয়ার করে। এরপর প্রতারক কোনওভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক ডিটেইলস ও গোপন এমপিন অ্যাপে লগ করে আশি হাজার টাকা তুলে নেয়।
ব্যাঙ্ক অ্যাকসেস পেয়ে প্রতারক ১৬টি বেআইনি লেনদেন করে ওই শিক্ষিকার অ্যাকাউন্ট থেকে ৮০,০০০ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেয়। ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহের শুরুর দিকে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ওই শিক্ষিকা এনআরআই কোস্টাল থানায় এফআইআর দায়ের করেন। সাইবার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন অচেনা কোনও ব্যক্তির পরামর্শ শুনে কখনওই কোনও অ্যাপ ডাউনলোড না করার জন্য। কেউ যদি ব্যাঙ্কের লোক বা সরকারি অফিসার বলে পরিচয় দিয়ে তা করতে বলে তা কখনওই করা উচিত নয়।
যে অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হবে,সেই অ্যাপ যাচাই করার পদ্ধতি রয়েছে। কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার আগে সেটি আদ্যোপান্ত খোঁজখবর নিয়ে তবেই তা ডাউনলোড করা উচিত বলে জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই হয়তো জানেন না প্রভিডেন্ট সংক্রান্ত কাজ সরকারি স্বীকৃত ইপিএফও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা উচিত। অনলাইনে অনেককিছুও দিয়ে থাকে প্রতারকরা। সেসবের ফাঁদে পড়া মানেই আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে জমানো টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। প্রভিডেন্ট বা আধার কার্ড সম্পর্কে কিছু জানার বা করার থাকলে তা সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা বাঞ্ছনীয়। কোনও অবস্থাতেই অচেনা অ্যাপ বা কারো পরামর্শে কিছু করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।