মহানগর ডেস্ক: সিবিআই পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করল।ধৃতদের মধ্যে কলকাতার পাসপোর্ট অফিসের তিন সিনিয়র পাসপোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট রয়েছেন। আর রয়েছেন একজন সিনিয়র স্টেনোগ্রাফার। সোমবার সিবিআই তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গিয়েছে। ধৃতরা হলেন সিনিয়র পাসপোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট নিশীথবরণ সাহা, দেবাশিস ভট্টাচার্য, উত্তম বেহরা এবং ধৃত কলকাতা পাসপোর্ট অফিসের সিনিয়র স্টেনোগ্রাফার মণীশ গুপ্ত।
গ্যাংটকের সঙ্গে ভুয়া পাসপোর্ট মামলায় এ রাজ্যের যোগ উঠে এসেছে। কিছুদিন আগে দুই রাজ্য মিলিয়ে মোট ৫০টি জায়গায় হানা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। গ্যাংটকের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট গৌতমকুমার সাহাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে শিলিগুড়ি থেকে বরুণ সিং রাঠোর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে কলকাতা পাসপোর্ট অফিসের আধিকারিকদেরও যোগ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।সিবিআই আধিকারিকরা কলকাতা পাসপোর্ট অফিসেও হানা দিয়েছিলেন।
কলকাতা অফিসের তিন উচ্চপদস্থ আধিকারিক-সহ এক সিনিয়র স্টেনোগ্রাফারকে পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।এমনটাই জানা গিয়েছে সিবিআই সূত্রে।যে মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল সেখানে ধৃত এই চারজনেরও নাম রয়েছে । সিবিআই সূত্রে খবর, যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে তিনজনই সিনিয়র পাসপোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পদ মর্যাদার আধিকারিক। ধৃতদের মধ্যে উত্তমের বাড়ি কোন্নগরে। নিশীথ উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। মণীশ থাকেন হিন্দ মোটরে। পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রের জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
জঙ্গি যোগও উঠে এসেছে জাল পাসপোর্ট তদন্তে। অসাধু এই চক্রের সদস্যদের সাহায্য নিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশির জন্য জাল পাসপোর্ট তৈরি করে পাক চর সংস্থা আইএসআই এমনকী, জেএমবি ও আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্যরাও জাল পাসপোর্ট তৈরি করত বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। চক্রের পাণ্ডারা গত আট মাসে উত্তরবঙ্গের পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে কয়েকজন নেপালি, তিন চিনা, দুই বাংলাদেশি ও এক মার্কিনি নাগরিককে জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে এই দেশে অনুপ্রবেশে সাহায্য করে বলে অভিযোগ।