মহানগর ডেস্ক: স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে গলা কেটে খুনের পর দেহ ৬ টুকরো করে বস্তায় ভরে খালে ফেলার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, খুনি স্বামী নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে ভর্তি। উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গিয়েছে কিছুটা দেহাংশ।
সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, দম্পতি সায়েরাবানু বিবি ও নুরউদ্দিন মণ্ডলের মধ্যে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ চলছিল। জমিটি নিজের মেয়েকে দেবেন বলে রেখেছিলেন সায়েরাবানু বিবি। কিন্তু নুরউদ্দিন সেই জমি নিজের নামে লিখিয়ে নিতে চাইতো।সায়েরাবানু বিবিকে নুরউদ্দিন মণ্ডল খুন করেছে তার জেরেই। দেহের কিছুটা অংশ উদ্ধার হয়েছে ইতিমধ্যেই। খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে বাকি অংশ। অন্যদিকে পুলিশ নজর রাখছে হাসপাতালে ভর্তি নুরউদ্দিনের ওপরে।
নিহতের মেয়ে মণি বিবি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘটনার দিন বাবাকে (নুরউদ্দিন মণ্ডল) অনেকবার জিজ্ঞাসা করার পরেও প্রথমে কিছুই স্বীকার করেনি। মায়ের মোবাইল দিয়ে বলল সুইচড অফ করে দিতে। আমি মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি তাতে রক্ত লেগে। জিজ্ঞাসা করায় বলল, তোর মা পিঠে করতে করছিল। তখনই হয়ত কিছু লেগেছে। আমার সন্দেহ নয়, আমি বাবাকে বলি থানায় চল। আমার সঙ্গে থানায় গেলে, মিসিং ডায়েরিও হল। রাতে আমার বাড়িতে খেয়ে বাড়ি ফিরে গেল। আমি সেই রাতেই বাবাকে ফোনে বললাম পুলিশ যাচ্ছে, তুমি বাড়ি থাকবে। কিন্তু তারপর বাবা নিখোঁজ হয়ে গেল। পরের রাতে আমার দাদার কাছে একটা নম্বর থেকে ফোন আসে, বলে আমার বাবা শাসন থানার কাছে ওষুধ খেয়ে পড়ে রয়েছে। পরে আমায় বলল তোর মাকে ছুরি দিয়ে মেরেছি।’