মহানগর ডেস্কঃ নতুন বছরে এলাকা জুড়ে যেখানে প্রত্যেক বাড়িতে খুশির আমেজ থাকার কথা, সেখানে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি র সৃষ্টি হয়েছে। একই পরিবারের ৩জনের রহস্য মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একই সঙ্গে ৩জনের মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ হতে পারে? খুন, নাকি আত্মহত্যা, নাকি খুন করে আত্মহত্যা? ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ডাকা হয়েছে ফরেনসিক টিমকেও।
ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে এক বাড়িতে। বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৩জনের মৃত দেয় উদ্ধার করা হয়েছে। বৃদ্ধ ব্যক্তির নাম শঙ্কর হালদার, বয়স ৭০ বছর, শঙ্কর হালদার বরানগর মিউনিসিপ্যাল কাজ করতেন। শঙ্কর হালদারের ছেলে অভিজিৎ ওরফে বাপ্পা হালদার, বয়স ৪২বছর বয়স, বাপ্পার হার্ডওয়ারের দোকান রয়েছে। বাপ্পার ছেলের নাম দেবপর্ণ হালদার, ওরফে বর্ণ, বয়স ১৫। দেবপর্নের নার্ভের কিছু সমস্যা ছিল। জানা যাচ্ছে সকাল ১০টা নাগাদ প্রতিবেশীরা ওই বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান, তারপর তাঁরা পুলিশে ফোন করে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। প্রথম যেই রুমটি ছিল,রুমের ভিতরে বাপ্পার ছেলে দেবপর্ণ এবং বাপ্পার নিথর দেহ মাটির ওপর পরে ছিল এবং চারপাশে রক্তের দাগ ছিলো। পাশের রুমে বৃদ্ধ শঙ্কর হালদারের মৃত দেহও মাটিতে পড়ে ছিল, বিছনায় রক্তের দাগ ছিল।
স্থানীয় প্রতিবেশী সূত্রে খবর, জানা যাচ্ছে বাপ্পার স্ত্রী মুনমুন ১বছর আগে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। জানা যাচ্ছে তার কারণ তাঁর অন্য একজনের সাথে সম্পর্ক রয়েছে, তার জেরেই এই সংসার মুনমুন ত্যাগ করেন। আর তারপর থেকে বৃদ্ধ বাবা, ছেলে, নাতি মিলেই বাড়িতে থাকতেন। ৬-৭জন ভাড়াটিয়াও থাকেন বলে জানা যাচ্ছে। বাবা, ছেলে এবং নাতির একসঙ্গে মৃত্যু ঘিরে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । কি কারণে এমন ঘটনা তা কেউ বুঝতে পারছেন না। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ড তাঁরা শুরু করে দিয়েছে। শঙ্কর হালদারের মাথায় আঘাতের দাগ ছিল। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে এটা খুন নাকি আত্মহত্যা? নাকি কেউ প্রথমে খুন করে তারপর আত্মহত্যা করেছেন।
Tag : mysterious death, 3person, bengali new year