মহানগর ডেস্কঃ চলতি সপ্তাহের সোমবারই ডি এল এডের প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। আর তারই রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার ফের একবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার জন্য বিতর্ক তুঙ্গে।
অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে গোটা ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে একটি প্রশ্নপত্র। প্রথমে সেটি ডিএলএডের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বলে সন্দেহ করা হয়। পরবর্তী কালে তা নিশ্চিত করে দেন পরীক্ষার্থীরা। ফলত স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্কের সম্মুখীন হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রশ্ন উঠছে বারবার কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও কীভাবে বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে?
সম্প্রতি এসএসসি, প্রাথমিক টেটের পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মত শিক্ষা আধিকারিকেরা এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে। তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। তার মাঝেই গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ডিএলএড পার্ট টু পরীক্ষা ।
গত সোমবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। সেই দায় মেনে নিয়েই পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, কারও দ্বারা পর্ষদ অর্থাৎ রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানার জন্য ভবিষ্যতে তদন্ত কমিটি তৈরির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন পর্ষদ সভাপতি।
সব আশ্বাসের শেষেও বুধবার ফের একই ঘটনা ঘটায় প্রশ্নের মুখে পর্ষদ। প্রশ্ন উঠছে যেখানে নিরাপত্তা কঠোর রাখার পাশাপাশি মোবাইল নিয়ে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের, পাশাপাশি অন্যান্য বিধি নিষেধ তো আছেই। সেখানে পরপর কীভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে চলেছে?