মহানগর ডেস্ক : দর্শিল সাফারি… শোনা শোনা লাগছে নামটা! ঠিক মনে করতে পারছেন না কোথায় শুনেছেন। ঠিক আছে বলে দিচ্ছি তবে। আমির খানের তারে জমিন পর ছবিটির কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। সেখানে যে শিশু শিল্পীটিকে আমরা দেখেছিলাম ঈশান হিসেবে তার আসল নাম দর্শিল। দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটা বছর কেটে গিয়েছে। ২০০৭ সালে আমির খান সামনে নিয়েছিলেন এই অন্যরকম ছবি। তারপর থেকে টিভির পর্দায় যতবার দেয় ততই যেন নতুন ভাবে আনন্দ পাওয়া যায় ছবিটিকে দেখে। তবে জানেন কি এই দর্শিল নিজেকে বড্ড বেশি নির্লজ্জ মনে করে। কারণটা অবশ্য নিজেই বলেছেন।
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে বসেছেন দর্শিল। কথা বলতে বলতে ফিরে গিয়েছেন আট বছরের ঈশানে। সেখানেই তিনি জানান ঠিক কিভাবে নিজের জন্য বড্ড বেশি নির্লজ্জ হয়ে পড়েছিলেন আমির খানের কাছে। কথায় কথায় পর্দার ঈশান জানায়,’ আমার মনে আছে সাত নম্বর যখন ছবিটি আবার করে দেখানো হচ্ছে। আবার করে স্ক্রিনিং হচ্ছে। তবে আমি সে সময় নিজের ঘুম কে ভীষণভাবে প্রাধান্য দিয়েছিলাম। দিনে দু-তিন ঘন্টা ঘুম আমার লাগতো। ছবি তখন চলছে আমি মাঝপথে ঘুমিয়ে পড়েছি। আমি যখন ঘুম থেকে উঠলাম আমার চারপাশে সবাই তখন কাঁদছে। আমি হঠাৎ করে বলে বসি আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে অনেক হয়েছে এবার থামো’। সামান্য থেমে তিনি আরো বলেন,’ আমি বরাবর আবেগপ্রবণ ছবি থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতাম। আমার একটা পছন্দ নয় যে ছবি দেখে লোকে কাঁদবে। একটা ভারী ভারী পরিবেশ হয়ে যাবে এটা আমার ভালো লাগেনা। তাই যখন এই ধরনের সিনেমা হয় আমি এক কোনায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি’।
তবে কথায় কথায় এও জানিয়েছেন বছর ২৫ এর দর্শিল ছোটবেলার থেকে এখন এই ছবিটি দেখেন ততবার ভাবেন এবং ততবার নিজেকে ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই সঞ্চালক থেকে প্রশ্ন করেছেন তাহলে কি এবার বড় পর্দা দুনিয়াতে পা রাখতে পারেন দর্শিল। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন সেভাবে এখনো কিছু ভাবেননি তিনি। তবে ইতিমধ্যে টুকটাক শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন তিনি।