Home Featured Dead Body Left For Six Hours : অটোপ্সির জন্য হাসপাতালে পুলিশের অপেক্ষায় মৃতার দেহ পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, মাকে ডেকেই চলেছে দু বছরের সন্তান

Dead Body Left For Six Hours : অটোপ্সির জন্য হাসপাতালে পুলিশের অপেক্ষায় মৃতার দেহ পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, মাকে ডেকেই চলেছে দু বছরের সন্তান

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: হাসপাতালের বিছানায় চাদরে মায়ের দেহ। তাঁর দু বছরের সন্তান চাদর তুলে মাকে ডেকে চলেছে “মা জাগো, মা জাগো” বলে। সে জানেই না তার মা আর নেই। আরেকটি শিশুর খুব বেশি হলে তিন মাস বয়েস। মায়ের বিছানায় খেলে চলেছে আপনমনে। এমন হৃদয়বিদায়ক দৃশ্য দেখা গিয়েছে রাজস্থানের (Rajasthan) টঙ্ক জেলার কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে (Community Health Centre। সেন্টারের কর্মীরা ছ ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে পুলিশের জন্য (Dead Body Left For Six Hours) । দেহ তারা মর্গে নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ পুলিশ অনুমতি না দিলে দেহ মর্গে নেওয়া যাবে না। পুলিশ পনেরো কিলোমিটার দূর থেকে আসছে। তাই চলছে অধীর অপেক্ষা। মৃত মহিলার মা শিশুটিকে বারবার বলছেন তার মাকে যেন তারা বিরক্ত না করে।

তাদের মা ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু দু বছরের ছেলেটি নিষেধ না শুনে বারবার কাতর গলায় ডেকে চলেছে মা মা বলে। ছ ঘণ্টা পর পুলিশ এসে অনুমতি দেওয়ার পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মর্গে। তবে কীকারণে শাবানা নামে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে জানা যায়নি। শাবানার পরিবার দেহের ময়নাতদন্তে রাজি হয়নি। তারা জানিয়েছে শাবানার তলপেটে দীর্ঘদিন ধরেই সমস্যা ছিল। পুলিশ জানিয়েছে মৃত মহিলা অ্যানিমিক ছিলেন। এক সপ্তাহ ধরেই টঙ্কের নাগারফোর্ট শহরে বাপের বাড়িতে ছিলেন শাবানা। তাঁর শ্বশুরবাড়ি হরিয়ানার রেওয়ারিতে। মৃতার ভাই সেলিম জানিয়েছে তলপেটে যন্ত্রণার বাড়াবাড়ি হওয়ায় বোনের চিকিৎসার জন্য তারা কোটায় চিকিৎসার জন্য আসছিল। নাগারফোর্ট থেকে নইয়ায় আসার জন্য বাসে করে আসছিল তারা।

কিন্তু রাস্তায় শাবানার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাড়াতাড়ি করায় জন্য বাস থেকে নেমে অটোয় চেপে আসছিল তারা। বোনকে কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আসে। তাকে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা নইনয়া থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সেখান থেকে একজন পুলিশ আসে। কনস্টেবল জানায় নাগারফোর্ট থানার পুলিশকে জানানো হয়েছে। নাগারফোর্ট থানার পুলিশ এলে তবেই দেহ নিয়ে যাওয়া হবে। এরমধ্যে কমিউনিটি সেন্টারের কর্মীরা চাদর দিয়ে ঢেকে দেন শাবানার দেহ। মৃতার পরিবার ও ওই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা নইয়া থানার পুলিশকে অনুরোধ করে দেহ মর্গ পা অটোপ্সির জন্য নিয়ে যাওয়ার জন্য। ছ ঘণ্টা পর নাগারাকাটা থানার পুলিশ আসে সেখানে। মর্গ থেকে বের করে আনে। পরদিন পর্যন্ত তারা মৃতার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করে অটোপ্সির অনুমতির জন্য। স্ত্রীর অসুখের কারণ জানানোর পরে মৃতার স্বামী অটোপ্সির অনুমতি দেয়নি।

You may also like