মহানগর ডেস্ক: শেষকৃত্যের পরদিনই সশরীরে বাড়িতে হাজির (Dead Woman Returned Home) “মৃত” মহিলা! দুদিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাহাত্তর বছরের চন্দ্রা দেবী। বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকেরা। কিন্তু তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না (No trace)। তারপর খবর পান চেঙ্গালপাট্টু ও তামবারাম স্টেশনের মাঝে রেলে কাটা পড়া এক বৃদ্ধা মহিলার দেহ (Mutilated Body Found) পাওয়া গিয়েছে। খবর পেয়েই সেখানে ছোটে চন্দ্রা দেবীর লোকজনেরা। তারপর তাঁর মায়ের দেহ বলে শনাক্ত করেন তাঁর ছেলে ভাদিভেলু। তাঁর মা যে শাড়ি পরেছিলেন সেই শাড়িই জড়ানো ছিল রেলে কাটা বৃদ্ধার দেহে। সেইমতো দেহটির শেষকৃত্য করেন তাঁর বাড়ির লোকেরা।
তার আগে বৃদ্ধার মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে দেওয়ালে পোস্টার লাগানো হয়। বাড়িতে পারলৌকিক কাজও হয় নিয়মমতো। পরের দিন রীতি অনুযায়ী মৃতের পছন্দমতো খাবার দেওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই এসে সশরীরে হাজির হন মৃতা বৃদ্ধা। তাঁকে দেখে চমকে যান সবাই। রীতিমতো হইহই শুরু হয়ে যায়। কেউ নিজের চোখকে বিশ্বাসই করতে পারেননি। এ কী করে সম্ভব, যাকে কাল তারা পুড়িয়ে এসেছিল, তিনি সশরীরে হাজির হলেন কীভাবে! তারপরই তাঁরা ছুটে যান রেলপুলিশের কাছে। তাদের কাছে গিয়ে জানান যে দেহের সৎকার তাঁরা করেছেন, তা তাঁদের মা চন্দ্রাদেবীর নয়। সেটা অন্য কারো। বৃদ্ধার ছেলে স্বীকার করেন তিনি ভুল করে ওই দেহ তাঁর মায়ের বলে শনাক্ত করেছেন। একই শাড়ি পরা ছিল বলে রেলে কাটা দেহ মায়ের বলে তিনি ভুল করেছিলেন। খুব খারাপভাবে বিকৃত হয়ে যাওয়া মুখ দেখে ঠিকমতো চিনতে পারেননি। বাহাত্তর বছরের চন্দ্রা দেবী জানান তিনি সিঙ্গা পেরুমল কোলি ও আশ
পাশে গিয়েছিলেন,তাই বাড়ি ফিরতে পারেননি। এদিকে মৃত বৃদ্ধার সশরীরে ফিরে আসায় রীতিমতো বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ। কারণ তাদের শুধু নতুন করে মামলা শুরু করতে হবে না, দেহ ফের ময়না তদন্তের জন্য পাঠাতে হবে শনাক্তকরণের জন্য। এ কারণে কবর দেওয়া দেহটি তুলে নতুন করে ময়না তদন্তের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তবে রাজস্ব আধিকারিকদের অনুমতি ছাড়া দেহ তোলা যাবে না। পুলিশ সেই কাজই শুরু করে দিয়েছে।