মহানগর ডেস্কঃ কথায় বলে কঠোর পরিশ্রমেই নিহিত থাকে আগামীর সাফল্য । বর্তমান যুগে সাফল্যের মাপকাঠি যে বেশ কিছুটা উপার্জনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়, এমনটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে সঙ্গে চার ইঞ্চির কপালের অর্থাৎ পাতি কথায় ভাগ্যের সদয় হওয়াও জুড়ে থাকে। দুটো একসঙ্গে মিলে গেলেই কেল্লাফতে। ভাগ্যবদল অবশ্যম্ভাবী। এক্ষেত্রেও গল্পটা একই।
টানা দশ দশটা বছর ধরে ভাগ্যোদয়ের আশায় নিয়মিত লটারি কাটতেন পান্ডুয়ার মাংসবিক্রেতা আব্দুল কাসেম। অবশেষে তাঁর ভাগ্যবদলের ভাগ্য হল সহায়ক। ১৫০ টাকার লটারি কেটে দশ বছর পরে কোটিপতি রামেশ্বরপুরের বাসিন্দা আব্দুল কাসেম। সৌজন্যে বিতর্কিত ডিয়ার লটারি। রাজ্য জুড়ে লটারি নিয়ে বিবাদের মাঝেই কোটি টাকা পুরস্কার পেলেন তিনি।
লটারি বিজেতা জানিয়েছেন, তাঁর দোকানের পাশেই ডিয়ার লটারির দোকান। সেই দোকানে অনেককেই লটারি কিনতে দেখে নিজেও সেই অভ্যাসে জড়িয়ে পড়েন। ১০ বছর ধরে ওই একটি দোকানেই নিয়মিত টিকিট কাটতেন তিনি। পুরস্কারও মিলেছে বহুবার। কখনও ৪৫ হাজার তো কখনও ৯০ হাজার টাকা। এক কোটি টাকা জেতেননি কোনওদিনই। গত ৩ নভেম্বর টিকিট কেটে প্রথম পুরস্কার হিসেবে তিনি কোটি টাকা জিতে নেন।
আব্দুল কাসেম জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ টাকা তিনি পরিবারের কাজেই লাগাবেন। পরিবারের সদস্যদের আরও ভাল রাখার প্রয়াস তাঁর। আর তাঁর এই সাফল্যের পরে খুশি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও।