মহানগর ডেস্ক: পিপিই দুর্নীতির অভিযোগে ফের সরগরম রাজনৈতিক মহল। এবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী (Assam CM)। এর আগে মণীশ সিসোদিয়ার (Manish Sisodia) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী রিনিকি ভুঁইয়া। এএনআই সূত্রে, বৃহস্পতিবার অসমের কামরূপ নগর দায়রা আদালতে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আগামী ২২ জুলাই সিসোদিয়াকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গে বিশ্ব শর্মার আইনজীবী দেবজিত লোন শইকিয়া বলেছেন, ‘সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। যে সংস্থাটি পিপিই কিট জোগান দিয়েছিল, তারা কোনও টাকা নেয়নি। সেই সময় সরকারের পক্ষ দিয়ে যোগানদারদের থেকে মদত চাওয়া হয়েছিল। দেড় হাজার পিপিই কিট সেই সময় যোগান দেওয়া হয়। কিন্তু এর জন্য কোনও পয়সা নেওয়া হয়নি’। এই মুহূর্তে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ব শর্মা। তাতে দোষী সাব্যস্ত হলে দু’বছরের জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মিসটেক ‘! রথযাত্রার শুভেচ্ছা পোস্টারে পড়ল না দিলীপ ঘোষের ছবি
প্রসঙ্গত, গত মাসের শুরুর দিকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর স্ত্রীর সংস্থাকে পিপিই যোগানের বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। প্রত্যেক কিট পিছু ৯৯০ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। যেখানে অন্যান্য সংস্থা তার দাম নির্ধারিত করেছিল ৬০০ টাকা। এটা বড় অপরাধ। বিজেপির কী সাহস রয়েছে নিজেদের নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার? যার পরেই শোরগোল পড়ে যায় চারিদিকে। সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মার স্ত্রী। তাঁর আইনজীবী পদ্মাধর নায়েক দাবী করেছিলেন, সিসোদিয়া বেশ কিছু মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে। ২০২০-র মার্চ মাসে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে আমার মক্কেল পিপিই কিট কিনেছিল বলে, তার অভিযোগ। এটা পুরোটাই মনগড়া কথা।
যদিওবা নিজের স্ত্রীর সঙ্গ দিয়েছিলেন হিমন্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন, ‘যখন দেশ ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর অতিমারির মুখোমুখি হয়েছিল, তখন অসমে পিপিই কিট ছিল না। আমার স্ত্রী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সরকারকে দেড় হাজারেরও বেশি পিপিই কিট দান করেছিলেন তিনি। কিন্তু একটা পয়সাও নেননি’। এদিন সেই মর্মেই মণীশ সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন বিশ্ব শর্মা।