মহানগর ডেস্ক: শিশুদের ক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যাটা হয় তারা বোঝেই না কখন তাদের জল তেষ্টা পাচ্ছে। শীত অল্প অল্প পড়ছে ঠিকই তবে গরম কমছে না। এই গরমে পর্যাপ্ত পরিমান জল না খেলে ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। আসলে শরীরে অতিরিক্ত তাপমাত্রা শরীর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এছাড়া বমি ডায়রিয়া হলে শরীরে জলের ঘাটতি দেখা দেয়। সেগুলো আমরা বুঝতে পারি। তবে আপনার দুধের শিশুটি এগুলো কিছুই বুঝতে পারেনা। তাই তাদের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রূপ নিতে পারে মারাত্মক।
প্রথমেই বলি বাচ্চাদের মধ্যে মূলত তিন ধরনের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়। প্রথমত ইলেকট্রোলাইসিস ঘাটতি হলে, দ্বিতীয়ত জলের ঘাটতি হলে এবং তৃতীয়ত ইলেকট্রোলাইসিস এবং জল দুটোর ঘাটতি হলে। সাধারণত পেটের সংক্রমণ হলে ডায়রিয়া এবং বমির কারনে এই সমস্যা দেখা দেয়। তবে বাবা-মায়েরই শিশুদের ডিহাইড্রেশনের লক্ষণ গুলি জেনে রাখতে হবে।
আপনার শিশু যদি ডায়রিয়া সমস্যায় ভোগে তাহলে জানবেন তার শরীর জল শূণ্য। এই সময় খেয়াল রাখুন শিশুর চোখ মুখের দিকে। যদি দেখেন তার ঠোঁট এবং মুখের চারপাশে গিয়ে গেছে। এবং তার কান্নার সময় যদি চোখ দিয়ে জল না বেরোয়। তাহলে জানবেন ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি হয়েছে।
এছাড়া শিশুর শরীরে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা তৈরি হলে প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। বাচ্চা চটি দুতিন ঘন্টা অন্তর প্রস্রাব না করে তাহলে বুঝবেন শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সেইসঙ্গে খেয়াল রাখুন প্রসাবের রং হলুদ হয়, এবং শিশু একটুতেই ঝিমিয়ে পড়ছে, সারাক্ষণ ঘুম পাচ্ছে, ঘ্যানঘ্যান করছে ,বিরক্ত হচ্ছে তাহলে তার শরীরের জল কমে গিয়েছে।
যখনই কোনো শিশুর মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ গুলি দেখবেন তখনই দ্রুত সতর্ক হোন। পর্যাপ্ত পরিমান জল খাওয়াতে শুরু করুন। আর ডায়রিয়া সমস্যা হলে ওআরএস খাওয়াতে শুরু করুন। কারণ সময় থাকতে যদি পদক্ষেপ না নেন তাহলে বাচ্চাকে স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা হতে পারে।