মহানগর ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনিকে ধরিয়ে দিতে এগিয়ে এল সেই ‘বাম্বল’ ডেটিং অ্যাপ। কারণ এই অ্যাপে শুধু শ্রদ্ধাই নয়, তার অগোচরে একাধিক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে এবং তাদের কয়েকজনকে নিজের ফ্ল্যাটে ডেকে আনার অভিযোগ উঠেছে শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনি আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন ছিলেন মহিলাবিদ। যার সূত্র ধরে বেশ খানিকটা তদন্তের গভীরে যেতে পেরেছেন পুলিশ বলে খবর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলা মনোবিদকে জেরা করে অনেক সূত্র পাওয়া গেছে। ডাক্তারের নাম সামনে আনেননি তদন্তকারীরা। তবে জানা গেছে, ওই মহিলা হওয়ায় আফতাবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই তাঁর আচার-আচরণ ও মনোভাব বেশ সন্দেহজনক মনে হয়েছে ওই মহিলার। এমনকি আফতাবের ব্যবহারের অনেকগুলো দিক তিনি লক্ষ্য করেছেন বলেও জেরায় পুলিশকে জানিয়েওছিলেন। আর এই মনোবিদের সূত্র ধরেই আফতাবের খুব কাছে পৌঁছতে পেরেছিলেন তদন্তকারীরা।
পুলিশি তদন্তে জানা গেছে, গত ১৮ মে শ্রদ্ধা ও আফতাবের বিবাদ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে দিল্লির ছতরপুরের ফ্ল্যাটে গলা টিপে শ্রদ্ধাকে খুন করে সে। এরপর শৌচালয়ে বসেই তাঁর দেহ ৩৫ টুকরতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে সেগুলো ১৮ দিন ধরে নুটের বাতাসার মতো ছড়িয়ে দেয় দিল্লির অলিগলিতে। এমনকি দেহের টুকরো সতেজ রাখতে ৩০০ লিটারের একটি ফ্রিজও কিনেছিল খুনি। তবে তদন্তকারীদের চাপে আফতাব খুনের কথা স্বীকার করলেও এখনও তার বয়ানে অনেক অসঙ্গতি পেয়েছে পুলিশ। তাই দফায় দফায় গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার রোহিণীর ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (এফএসএল)-তে পলিগ্রাফ পরীক্ষা হয়েছে আফতাবের। তার পরেও তদন্তকারীদের ধন্দ কাটেনি। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু প্রশ্নের জবাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মিথ্যা বলে গেছে আফতাব। তাই এবার নার্কো-অ্যানালিসিস এর পথে হাঁটতে পারে তদন্তকারীরা।