মহানগর ডেস্কঃ নভেম্বর মাস শুরু হতে না হতেই দূষণের চাদরে ঢেকেছে গোটা দিল্লি। দীপাবলিতে সাময়িক স্বস্তি পেলেও ২৯ অক্টোবর থেকেই বাড়তে থাকে দিল্লির দূষণ। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় দিল্লিতে বায়ুর গুণমানের সূচকের মাত্রা ৪৫৩। ফলত রাজধানী এবং তার সংলগ্ন এলাকায় দূষণের ফলে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি। এবার রাজধানীর দূষণ নিয়েও শুরু হয়েছে আপ-কেন্দ্র তরজা। দূষণ পরিস্থিতির জন্য দিল্লি আপ সরকারকে দায়ি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও তা মানতে মোটেই রাজি নন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি দাবি করেন, এই সমস্যা শুধুমাত্র রাজধানীর সমস্যা নয়। এই সমস্যা সমগ্র উত্তর ভারতের। কাজেই দূষণের জন্য দিল্লি এবং পাঞ্জাব সরকারকে দোষ দেওয়া ঠিক নয় বলেই দাবি করেছেন আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল। দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্যগুলির পাশাপাশি কেন্দ্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
দিল্লির আশেপাশের রাজ্যগুলিতে দীপাবলির পর থেকেই দূষণের মাত্রা বাড়তে থাকে ব্যাপক হারে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা ইত্যাদি রাজ্যে ব্যাপক হারে ফসল পোড়ানোর কাজ চলে এই সময়। ফলত সেখান থেকেই দূষণের মাত্রা ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। সেই বিষয়টিকে স্বীকার করে নিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তবে কেজরিওয়ালের অভিযোগ, দূষণ নিয়ে কেন্দ্র নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। তাই, দিল্লি ও পাঞ্জাব সরকারকে দূষণের জন্য দায়ি করা হচ্ছে। তবে, এখন দোষারোপ এবং রাজনীতির সময় নয় বলেই দাবি করেছেন কেজরি।
রাজধানীর বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ থেকে খারাপতর। তাই তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণে ট্রাক চলাচলেও লাগাম দিল্লির প্রশাসনের। একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, একমাত্র জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ট্রাকই রাজধানীর রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। অন্য কোনও পণ্যবাহী ট্রাক যাতে শহরের রাস্তায় চলাফেরা করতে না পারে তার জন্য ১২০টি পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন থকবে।