মহানগর ডেস্কঃ বিগত সপ্তাহেরর শেষের দিকে দিল্লির বায়ুদূষণ চিন্তায় ফেলেছিল। সপ্তাহের প্রথম দিনেই বায়ুদূষণের মাত্রা সামান্য কমেছে, ফলত নয়াদিল্লির পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটাই উন্নত্। গত ৩ নভেম্বর, দিল্লিতে বায়ু দূষণের সূচক মাত্রা ছিল ৪৫০। গোটা রাজধানী শহর ঢেকেছিল ধোঁয়াশার চাদরে। এরপরেই Commission for Air Quality Management বা CAQM-এর তরফে রাজধানী শহরকে ‘Severe Plus Zone’ –এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দূষণের মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ট্রাক এবং বড় বড় মালবাহী গাড়িকে দিল্লিতে ঢোকা বন্ধ রেখেছিল প্রশাসন। বন্ধ করা হয়েছিল স্কুলগুলোও।
নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকায় ফলাফল হাতেনাতে। গত শনিবার থেকেই কমতে থাকে বাতাসে বায়ুদূষণের পরিমাণ। শনিবার দিল্লির বাতাসে বায়ু দূষকের সূচক ছিল ৩৮১। রবিবার পরিস্থিতির উন্নতি হয়ে সেই সূচক নেমে আসে ৩৩৯-এ।
সূচক কমতেই সোমবার থেকে ডিজেল চালিত গাড়িগুলো শহরের রাস্তায় ঢুকতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ডিজেল চালিত গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পেট্রোল চালিত BS-III এবং BS-IV গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের জারি করা নিষেধাজ্ঞা বলবৎ জারি থাকছে।
সোমবার CAQM- এর আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। তিনি জানান, পরপর ২ দিন বায়ুদূষণের পরিমাণ কমায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে। তবে তিনি জানান, এখনও বায়ুদূষণে বিপদমুক্ত নয় রাজধানী শহর। দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনাই দিল্লি সরকারের কাছে এই মুহূর্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সোমবারের বৈঠকের পরে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। দূষণ কমাতে রাজধানীর পাশাপাশি দিল্লি NCR-এও একইরকমের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন CAQM- এর আধিকারিকরা।