মহানগর ডেস্ক: জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তার আগে রবিবার মিউনিখে প্রবাসী ভারতীয়দের সামনে ভাষণ দিয়েছেন নমো। বিদেশে গিয়ে কংগ্রেসকে (Congress) এক হাত নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “৪৭ বছর আগে গণতন্ত্রকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। জরুরি অবস্থা ভারতের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায়। কিন্তু ভারতীয়দের ডিএনএ-তে রয়েছে গণতন্ত্র’। তাঁর বক্তব্য, ‘আজকের ভারত হল উন্নয়নের ভারত’।
এদিন মন কি বাত অনুষ্ঠানেও জরুরি অবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বরাবর জরুরি অবস্থার বর্ষপূর্তির দিনগুলিকে ‘কালো দিন’ হিসেবে পালন করে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি । এদিন মিউনিখের মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চে পরিণত করেন তিনি। তাঁর দাবি, ভারতের উন্নয়নের দিকে নজর রেখে কাজ করছে মোদি সরকার। মঞ্চে উঠে ধর্মনিরপেক্ষ, বৈচিত্র্যময় ভারতের বার্তা দিয়েছেন তিনি। খাদ্য, পোশাক, সঙ্গীত বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের কথা তুলে ধরেছেন। সেইসঙ্গে বলেছেন, ভারতের তৈরি ভ্যাকসিন দিশা দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই তৃণমূলের পাল্টা বিজেপির প্রতিবাদ সভা
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ভারতবাসী একসময় দাসত্ব করত। আজ শিল্পে নেতৃত্ব দেয়। ভারতে সবথেকে সস্তা ইন্টারনেট পরিষেবা। ডিজিটাল টেকনোলজিতেও ক্রমশ এগিয়ে চলেছে এদেশ। প্রতিদিন ১০-১৫ লক্ষ ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটা হয়। ড্রোনের সাহায্যে জমির ম্যাপিং হয়। আগে বলা হত, কোনও কাজ হলে হবে। আজ সেই মানসিকতার বদল ঘটেছে। আজ ভারত বলে, সময়ের মধ্যেই কাজ করতে হবে। প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, আজ ভারতে ৯০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক করোনার টিকা পেয়েছেন। অথচ অনেকে বলতেন সবাইকে করোনার টিকা দিতে নাকি ১৫ বছর লেগে যাবে। এদিন একইভাবে মঞ্চে মোদি-মোদি রব শোনা যায়।
তাঁর বক্তব্য, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় সাফল্য পেয়েছে ভারত। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর মাঝে ভারতবাসীর সাহস সবথেকে বড় শক্তি ছিল এবং থাকবে দেশের। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, দেশের প্রায় সমস্ত গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ। গত দু’বছর ধরে ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছে সরকার। দেশের গ্রামে-গঞ্জে শৌচালয়ের বন্দোবস্ত হওয়ায়, খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধ হয়েছে। সেইসঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলির উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, গত শতাব্দীতে জার্মানি এবং অন্য দেশগুলি শিল্প বিপ্লব থেকে উপকৃত হয়েছিল। ভারত পরাধীন ছিল। সেই কারণে সুবিধা পায়নি। কিন্তু এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে থাকবে না ভারত। একইসঙ্গে নাম না করেই বিদেশের মাটিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির দিকে তোপ দেগেছেন তিনি।