মহানগর ডেস্ক: করোনা উদ্বেগ কাটতে না কাটতেই জেলায় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি এই রোগ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে স্থান নিয়েছে বিদেশেও। পাকিস্তানেও বাড়ছে সংক্রমণ। অনেক সময় রক্তের প্লেটরেট কমে গিয়ে মৃত্যুও হচ্ছে। কিন্তু করোনার মতোও এই রোগের সঙ্গে লড়াই করতে হলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম এবং পুষ্টি বৃদ্ধি করা জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। পর্যাপ্ত হাইড্রেশন এবং পুষ্টির মাধ্যমে ডেঙ্গি এই জ্বর বাড়িতে থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা যায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তার জন্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে খেতে হবে মরশুমের নানান ফল ও সবজি।
ফোর্টিস মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, গুরগাঁও এর প্রধান- ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট দীপ্তি খাতুজা ডেঙ্গি দমন করতে ডায়েটে কয়েকটি খাবার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ ডেঙ্গি রোগের সঙ্গে লড়াই করতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম এবং পুষ্টি বৃদ্ধি করা জরুরি। তাই রক্তের প্লেটলেট অর্থাৎ অণুচক্রিকার সংখ্যা কমে গিয়ে শরীর দূর্বল হওয়ার হাত থেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে কিছু চেনা খাবার এই সময় বেশি বেশি করে খাবার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেগুলি ঠিক কি কি চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. পানীয়: প্রথমত এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ। শুধু জল ছাড়াও লেবু জল, বাটারমিল্ক বা লস্যি, নারকেলের জল ইত্যাদি প্লেটলেট কাউন্ট উন্নত করে। রাখা যেতে পারে ভেষজ চা, ঝোল এবং স্যুপ।
২. ফল: আপেল, পেঁপে, ডালিম, জাম, ন্যাশপাতি, চেরি, এবং পীচ এই ৬ টি ফল খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ এগুলির মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি রয়েছে। যা হজম শক্তিকে উন্নত রেখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. শাকসবজি: নিয়মিত ডায়েটে শরীর গঠনের জন্য মরশুমের শাকসবজি রাখা জরুরি। অন্ত্র এর বিপাকীয় ক্ষমতা বাড়ায় বিভিন্ন রঙের শাকসবজি। এতে উপস্থিত বিভিন্ন উপাদান ভিটামিন এ, সি এবং জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি খনিজ উপাদান, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
৪. মশলা: রান্না করতে গেলে একটি জরুরী উপাদান মশলা। আর সেগুলির মধ্যে ব্যবহার করুন আদা, রসুন, হলুদ, দারুচিনি, এলাচ, গোলমরিচ, এবং জায়ফলের মতো মশলা। কারণ এদের ভেষজ অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং ইমিউন-বুস্টিং করে।
৫. বীজ প্রোটিন: বাদাম জাতীয় খাবারে বীজ প্রোটিন পুষ্টি, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর হয়। তাই এই ধরণের খাবার রাখা যেতে পারে ডায়েটে।
৬. দুগ্ধ জাতীয় খাবার: পাশাপাশি শর্করা ও প্রোটিনের মাত্রা ঠিক রাখতে ডায়েটে প্রোবায়োটিকস খাবার রাখা জরুরি। সেগুলি হল দই, লস্যি, পনির কেফির, কম্বুচা এবং সয়াবিন।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘পুষ্টি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের খাবারের উপর। অতএব, আমরা কী খাচ্ছি সে সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।