মহানগর ডেস্ক: দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ভারতে অনেক দাঙ্গা (Riot) হয়েছে। শয়ে শয়ে মানুষ খুন হয়েছেন (Killed Hundreds)। আসলে মানুষ আদর্শের (Ideology) বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পায়। আর হিংসার পেছনে এটাই হচ্ছে মূল কারণ। কেউ যদি মনে করে নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) ভুল বলেছেন, আসুন। তর্ক করুন।( argue) টেলিভিশনে এসে আপনি আপনার যুক্তি তুলে ধরুন। কিন্তু তা না করে তার বদলে তলোয়ার ধরছেন। মঙ্গলবার একটি সর্বভারতীয় প্রচারমাধ্যমের সভায় বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার হয়ে সওয়াল করে এই মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
মা কালী নিয়ে তথ্যচিত্রের পোস্টারে মা কালীর সিগারেট খাওয়া নিয়ে বিতর্কে তাঁর বক্তব্য, অনেক মানুষ আছেন যাঁরা হিন্দুত্ব সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলেন নিজেদের প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে জাহির করার জন্য। এইসব তথাকথিত প্রগতিশীল মানুষেরা তাঁদের নিয়ে যাতে আলোচনা,কথা বার্তা হয়, সেজন্য বিতর্কিত কথা বলে থাকেন। ভারতে বাঙালি,তামিল,পঞ্জাবি,মারাঠিরা রয়েছেন। তাঁরা তাঁদের মতো সংস্কৃতি,ভাষা,খাবার, পোশাকআশাক পরেন। কিন্তু যে যাই করুক, দেশ কিন্তু এক। এই দেশে রয়েছে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য।
তাঁর কথায়. অন্যদের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধা জানানো উচিত। কিন্তু এসবের মধ্যে যখন রাজনীতি এসে ঢুকে পড়ে তখনই সমস্যা দেখা দেয়। জানান, নিজেদের ধর্মকে ভালোবাসুন, সেটা ঠিক আছে। অন্য ধর্মকেও শ্রদ্ধা করুন। গত একমাস ধরে বিজেপির সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার নবী হজরত মহম্মদ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে দেশ জুড়ে প্রবল বিক্ষোভ,প্রতিবাদ দেখা যায়। বিক্ষোভ প্রতিবাদ হিংসাত্মক ঘটনার রূপ নেয়। দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের ইসলামি রাষ্ট্রগুলিতেও নিন্দা,সমালোচনা ঝড় ওঠে।
সম্প্রতি নূপুর শর্মাকে সমর্থন করার জন্য রাজস্থানের উদয়পুরে কানাইয়ালাল নামে একজনের মুণ্ডচ্ছেদ করে দুই দুষ্কৃতী। একই কারণে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে এক কেমিস্টকে খুন করা হয়। দেশ জুড়ে এই হিংসার জন্য নূপুর শর্মাকে দায়ী করে দেশের মানুষের কাছে তাঁকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্য আদালতের এই বক্তব্য নিয়ে নানা মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।