মহানগর ডেস্ক: বাংলাদেশে চরমপন্থী মুসলিমদের দ্বারা হিন্দু নির্যাতনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরবতাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় ফের একবার মমতার বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগে সরব হলেন তিনি।
মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সেদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের উদ্বেগ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাংলাদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে। একটি ঘটনা মিটতে না মিটতেই আরও একটি ঘটছে। স্পষ্টতই বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে কিছু করা উচিত। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য হিন্দুরাও তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাই তাঁদেরও রক্ষা করা উচিত।”
পাশাপাশি তৃণমূলের (TMC) মুখপত্রে (Jago Bangla) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নিয়ে এদিন বাংলার শাসক দলকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণের ঘটানায় প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন! সেই প্রশ্ন তুলে তাঁর সমালোচনার পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সুবিধা লাভের অভিযোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে। যার প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশে, আমরা কীভাবে ষড়ষন্ত্র করতে পারি? এরপরেই তৃণমূলকে বিঁধে দিলীপের পালটা প্রশ্ন, “যাঁরা বাঙালিদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যারা ত্রিপুরা ও অসমে যান, তাঁদের উচিত বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাঁরা কেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেননি?” একইসঙ্গে বাংলাদেশে এই হিংসা বন্ধ না হলে এর তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন দিলীপ ঘোষ।