মহানগর ডেস্কঃ এবার রাজ্য সরকারকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন বাম নেত্রী তথা এসএফআইয়ের সর্ব ভারতীয় যুগ্ম সম্পাদক দীপ্সিতা ধর। পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের তাবড় তাবড় নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে দীপ্সিতা বলেন, তৃণমূল দলটাই একটা রোগের নাম। পশ্চিমবঙ্গের বুকে সেই রোগের বাসা বেঁধেছে। একইসঙ্গে দীপ্সিতা দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা বাম ছাত্র যুব রাজনীতি করছেন তাঁরা এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন দিতে এসেছেন। খুব শিঘ্রই এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই লড়াই ছেড়ে আসার কোনও জায়গা নেই।
রবিবার রাতে মধ্যমগ্রামে এসএফআই-এর এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন দীপ্সিতা। সেই কর্মসূচি থেকেই টেট আন্দোলনকারীদের হঠিয়ে দেওয়া থেকে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধ্বে তোপ দাগেন তিনি। দীপ্সিতার স্পষ্ট দাবি, গত দু-দিন আগে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের চাকরিপ্রার্থীদের যেভাবে পুলিশি বলপ্রয়োগ করে আন্দোলন থেকে সরিয়ে দেওয়া হল এবং গোটা রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে তার বিরুদ্ধে এসএফআইয়ের আন্দোলন থেকে কোনওভাবেই তাঁরা পিছিয়ে আসার অবস্থানে নেই বলে জানান তিনি। আন্দোলন জারি রাখার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
দীপ্সিতার দাবি, এই লড়াই শুধু ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নয়। এই লড়াই পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ছেলে মেয়েদের, যারা সুস্থভাবে পড়াশোনা করে চাকরি পেতে চায় তাঁদের লড়াই। সেই লড়াইয়ের সঙ্গেই আছে এসএফআই এমনটা জানান তিনি। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, রাজ্য সরকার যত বেশি আন্দোলন দমাতে চাইবে ততই তাঁরা লড়াইয়ের রাস্তাতে থাকবেন।
পাশাপাশি, দীপ্সিতার কণ্ঠে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অপসারণ নিয়েও সরকারের প্রতি বিক্ষোভ ঝরে পড়ে। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে পুজোর কার্নিভালের জন্য গান্ধী মূর্তি থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনে আনেন তিনি। তিনি দাবি করেন, যখন দেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প এসেছিলেন সেই সময়েও বস্তির সামনে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়েছিল। দীপ্সিতাদের লড়াই জারি রাখার প্রয়াস আগামী দিনে রাজ্য সরকারের কাছে কতখানি শুধরানোর সহায়ক হয় সেটাই আপাতত অপেক্ষার।