মহানগর ডেস্ক: গরমের দেশে একদিন স্নান না করলে কেমন পাগল পাগল লাগে। কেউ কেউ আবার দিনে দু তিনবার স্নান করেন গরম থেকে মুক্তি পেতে। ঘাম, নোংরায় কাহিল হয়ে যান। ধারা স্নান করে গরম, নোংরা থেকে মুক্তি পান। সঙ্গে সাবান তো আছেই। কিন্তু ইরানের আমোউ হাজির ব্যাপারটা একদম আলাদা। শেষ কবে তিনি স্নান করেছিলেন,তা জানা ছিল না তাঁর। হয়তো পাঁচ বছর কিংবা দশ বছর। তারও বেশি হতে পারে। হতে পারে পঞ্চাশ বছর। এত বছর মাথায়, গায়ে জল ঢালেননি তিনি। তাঁকে বলা হতো বিশ্বের নোংরা তম মানুষ (Dirtiest Man Of World) । থাকতেন ইরানের দেজগাহগ্রামে (Iran)। গ্রামটি ইরানের দক্ষিণে ফার্সে রয়েছে।
সম্প্রতি মারা গেলেন আমোউ হাজি। বিয়ে করেননি। থাকতেন একা। তাঁর ধারণা ছিল স্নান করলেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন। ইরানের সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, মাস কয়েক আগে প্রথমবার তাঁকে জোর করে বাথরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন স্নান করানোর জন্য। তবে তাঁকে স্নান করানো গিয়েছিল কিনা, তা অবশ্য জানা যায়নি। ২০১৩ সালে তাঁকে নিয়ে স্ট্রেঞ্জ লাইফ অব আমোউ হাজি নামে একটি ছোট তথ্যচিত্র তৈরি করা হয়েছিল। সম্প্রতি মারা গেলেন বিশ্বের সব থেকে নোংরা মানুষটি। বয়েস হয়েছিল চুরানব্বই। বলতে গেলে একা একা, প্রায় নিঃশব্দেই। তবে অনেকেই হয়তো তাঁর মৃত্যুতে স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন।