মহানগর ডেস্ক: গুমনামি বাবার ডিএনএ-র (DNA Report Of Gumnami Baba) ইলেক্ট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্টের বিশদ বিবরণ জানাতে অস্বীকার করল সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (Central Forensic Science Laboratory)। কারো কারো ধারণা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (Netaji Subhash Chandra Basu) গুমনামি বাবার ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন। সেই ধারণার সত্যিমিথ্যে যাচাই করে দেখতে তথ্যাধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা নেতাজি গবেষক সায়ক সেন। গত চব্বিশে সেপ্টেম্বর তিনি আবেদন জানান। তার আবেদনের জবাবে গুমনামি বাবার ডিএনএ-র রিপোর্টের বিশদ তথ্য জানাতে রাজি হয়নি সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি।
তথ্যাধিকার আইনে বলা হয়েছে যেসব তথ্য দেশের সার্বভৌমত্ব,সংহতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশের নিরাপত্তা,কৌশল, আর্থিক স্বার্থকে ক্ষুন্ন করতে পারে, তা তারা প্রকাশ করবে না। নেতাজি গবেষক জানিয়েছেন সিএফএসএল তাঁর তথ্যাধিকার আইনে করা আর্জি খারিজ করে জানিয়েছে গুমনামি বাবার ইলেকট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট তিনটি কারণে জানাতে পারবে না। নেতাজি বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন সিএফএসএল গুমনামি বাবার ইলেকট্রোফেরোগ্রাম রিপোর্ট জানাতে অস্বীকার করেছে। প্রসঙ্গত, ইলেকট্রোফেরোগ্রাম হল ইলেকট্রোফেরোসিস অটোমেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের দ্বারা বিশ্লেষণের ফলাফল। এই পরীক্ষা একটি অটোমেটেড ডিএনএ সিকোয়েন্সিং মেশিনের তৈরি তথ্যের সিকোয়েন্স দিয়ে থাকে। ইলেকট্রোফেরোগ্রাম জেনেয়ালজিক্যাল ডিএনএ পরীক্ষা ও পিতৃত্ব পরীক্ষায় ব্যবহার হতে পারে।
তিনি জানান,সিএফএসএল জানিয়েছে তিনটি কারণে তাঁকে ওই রিপোর্ট তারা জানাতে পারবে না। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে দেশের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হতে পারে এবং বিদেশি রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে। তাঁর তথ্যাধিকার আইনে করা আবেদনে নেতাজি বিশেষজ্ঞ জানতে চেয়েছিলেন যে মানুষ উত্তরপ্রদেশের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় ছিলেন, কেন তাঁর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তা বিদেশি রাষ্ট্রগুলির সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে পারে। এ থেকে এটা পরিষ্কার যে গুমনামি বাবা একজন সাধারণ মানুষের থেকে অন্যরকম,আলাদা। গবেষক বিশ্বাস করেন তাঁর পর্যবেক্ষণে গুমনামি বাবা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-ই। যদিও দাবি করা হয় ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃ্ত্যু হয়েছিল। যদিও অনেকের ধারণা তিনি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়ে ভারতে আত্মগোপন করেছিলেন ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিতে।