মহানগর ডেস্ক: নিতান্তই একটা জিন্স। তাও আবার পুরানো, ছেঁড়া ফাটা। কিন্তু যদিও সেটা জিন্সের আধুনিকীকরণ, টোনাল জিন্স। তার দাম কি না ৬২ লক্ষ। আর এর আগে নাকি এত দামে কোনও জিন্সের প্যান্টও বিক্রি হয়নি বলে দাবি এক নামক জিন্স প্রস্তুতকারকের। কিন্তু কী এমন আছে রে বাবা এই ডেনিমের পুরনো প্যান্ট এ। এটি কি আগে কোনও সেলিব্রিটি পরেছিলেন? নাকি কোনও দুর্মূল্য কিছু আছে এর মধ্যে? এসব নানা প্রশ্ন উঠে আসছে এই ৬২ লক্ষ টাকার জিন্সকে ঘিরে।
সম্প্রতি বিখ্যাত লিভাইস কোম্পানির একটি প্যান্ট আলোচনায় উঠে এসেছে। যেটির আবার আমেরিকাতে নিলামও হয়ে গেছে। আর সেখানেই এই প্যান্টটির ভারতীয় টাকায় দাম উঠেছে প্রায় ৬২ লক্ষ। তবে সব মিলিয়ে ক্রেতাকে দিতে হয়েছে ৭২ লক্ষের কাছাকাছি।
কিন্তু এত দাম কেন, সেই উত্তর এবার স্পষ্ট করতে ডেনিম প্রস্তুতকারক আন্তর্জাতিক কোম্পানি লিভাইসের দাবি, এই প্যান্টটি এখনও পর্যন্ত পাওয়া সর্বোচ্চ প্রাচীন জিন্সের মধ্যে একটি। এবং এরেটি তাদের কোম্পানীর বানানো সবচেয়ে পুরনো জিন্স। যার বয়স প্রায় ১৫০ বছরের কাছাকাছি। তথ্য বলছে ১৮৮০ সাল নাগাদ বানানো এই প্যান্ট।
এপ্রসঙ্গে ডেনিমের ইতিহাস-চর্চাবিদ মাইকেল হ্যারিস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যত পুরনো জিন্স পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে প্রাচীন। লিভাইসের একেবারে গোড়ার দিকের কোমরে ফাঁস মারা জিন্স। এটিও তেমনই একটি জিন্স। তিনি আরও বলেন, ‘কয়েক বছর আগে আমেরিকার একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে এটি উদ্ধার হয়, বহু বছর আগে যে খনির দরজা বন্ধ হয়। সেই সময়ে খনি শ্রমিকদের জন্য পাতলা প্যান্ট বেশি দিন না টেকায় শক্ত জিন্সের প্যান্ট বানানো হত। আমেরিকার জামাকাপড়ের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ। যে ইতিহাসেরই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ে থেকে যাবে এই প্যান্ট।
অন্যদিকে এই প্রাচীণ জিন্সটির বর্তমান মালিক কাইলে হুপার্ট। তিনি প্রায় ৭২ লক্ষ্য টাকা দিয়ে এই জিন্সটি কিনেছেন। এটাই প্রথম নয়, তিনি এর আগে এই ধরনের ভিনটেজ বহু জামাকাপড় কিনেছেন। আর এটা তাঁর কাছে একটা নেশার মত পুরনো জিনিস সংগ্রহ করা। এমনকি নানা দেশে তিনি এই জাতীয় জামাকাপড় তিনি পাঠানও। তিনিও জানিয়েছেন, এটি তাঁর সংগ্রহের অন্যতম একটি নিদর্শন। কারণ তাঁর নিজের সংগ্রহে এত প্রাচীন কোনও কিছুই নেই।