মহানগর ডেস্ক: একাধিক প্রতিবাদ, চোখ রাঙানি সবার পর ঘটা করে তাকে ব্যান করার পরও নাকি জনতার রায় গেল সেই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) এর পক্ষে। আর সেই রায়ের উপর ভিত্তি করে রবিবার ভারতীয় সময় ভোর ৬টা ২৩ মিনিটে ট্রাম্পকে টুইটারে (Twitter) ফেরানোর কথা টুইট করে জানালেন স্বয়ং টুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক (Elon Musk)। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনা নিয়ে গতকালই একটি ভোটের আয়োজন করেছিলেন মাস্ক। সেখানে আমজনতা থেকে সেলেবরা তাদের মতামত জানিয়েছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে ট্রাম্পের পাল্লা ভারী বলেই জানা যাচ্ছে। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক।
‘ট্রাম্পকে কি টুইটারে ফিরিয়ে আনা উচিত?’ এমনই প্রশ্ন তুলে শনিবার ভোটাভুটি চালু করেছিলেন এলন মাস্ক। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ। ভোটের ফলাফলে দেখা যায়, জিতে গিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর পক্ষে ভোট পড়েছে ৫১. ৮ শতাংশ এবং বিপক্ষে ৪৮. ২ শতাংশ।এরপরই রবিবার একটি টুইট করে মাস্ক লিখেছেন, ‘জনগন নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। তাই ট্রাম্প আবার টুইটারে ফিরবেন।’ সেই সঙ্গে ল্যাটিনে লিখেছেন, ‘ভক্স পপুলি ভক্স দেই’। যার অর্থ, ‘মানুষের কণ্ঠস্বরই ঈশ্বরের কণ্ঠস্বর’।
এরপরই এলন মাস্কের ভোটাভুটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে তাকে টুইটার থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। কিন্তু আবার তাকেই ফিরিয়ে আনার এই সিদ্ধান্ত একপ্রকার আগের নির্দেশকে অবমাননা করছে মাস্ক, এমন দাবি তুলেছেন ট্রাম্প বিরোধী শিবির। ইতিমধ্যে বহু মানুষ সেই টুইটের রিপ্লাইয়ে ট্রাম্পকে ফেরানোর বিরোধিতা করেছেন। আবার কেউ কেউ লিখেছেন ‘ব্রিং ব্যাক ট্রাম্প’।
প্রসঙ্গত, গত বছর আমেরিকায় ক্যাপিটল হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং সেই হিংসায় ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে টুইটার থেকে চিরতরে নির্বাসিত করা হয়েছিল। তবে নতুন মালিক আসতেই তার উপর থেকে নির্বাসন তোলার প্রস্তুতি তোলা নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে মাস্ক। আর তা নিয়ে টুইটারে শুরু হয়েছে শোরগোল।