মহানগর ডেস্কঃ শরীরে মেদ থাকলেই থলথলে চেহারার জন্য অন্য মানুষের হাসির খোরাক হওয়া নতুন কিছু নয়। অফিসের সহকর্মীদের কাছেও প্রায়শই হাসির খোরাক হতে হ্য় অনেককেই। তবে রোজ রোজ নিজের শরীর নিয়ে খোঁটা শুনতে কারই বা ভাল লাগে? অগত্যা রোজ রোজ খোঁটা শুনতে শুনতে মহিলা কর্মী ফুঁসে উঠলেন নিজেই। সোজা আদালতে নালিশ ঠুকে দিলেন ওই মহিলা কর্মী। তাঁর বস তাঁকে প্রায়শই ‘মোটা’ বলে খোরাক করতেন। তা জানিয়েই নালিশ করেছেন ওই মহিলা কর্মী। আর তাতেই অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তির নির্দেশ দেন বিচারক। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে এমন ঘটনাই গোটা বিশ্বের মানুষকে রীতিমত বিস্মিত করেছে।
মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই অফিসের বসের যাবতীয় হম্বিতম্বি খতম নিমেষে। কাঠগড়ায় তাঁকে দাঁড় করিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন বিচারক। শুধু তাইই নয়। পাশাপাশি, মহিলা সহকর্মীকে ওই বস যেন সহকর্মীকে আঠারো লক্ষ টাকা জরিমানা দেন, এমন নির্দেশও বিচারক দেন। এই ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে।
ওই মহিলা কর্মীর দাবি, তাঁর বস উঠতে বসতে তাঁকে ‘মোটা’ বলে খোঁটা দিতেন। বারবার তাঁকে রোগা হওয়ার জন্য চাপ দিতেন। খোলামেলা পোশাক পরে আসতেও বলতেন। শুধু তাই নয়, রোগা হওয়ার জন্য বারবার জিমে যেতেও চাপ দিতেন বস, এমনই অভিযোগ। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন বলে জানিয়েছেন। গ্লাসগোর ওই আদালতের নির্দেশ, ভবিষ্যতে এমনও ধরণের অভিযোগ এলে, শুধু কোনও ব্যক্তি নয়, সংস্থাকে সমান ভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হবে। পাশাপাশি স্পষ্ট করে জানানো হয়, শারীরিক গঠন কারও কাজের মানদণ্ড হতে পারে না।
স্কটল্যান্ডের আদালতের এই সিদ্ধান্ত যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি এই রায়ের জেরে বদলাবে কর্মস্থলের সংস্কৃতি। সেক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সংক্রান্ত নতুন আইন তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এইভাবে কারও শরীর নিয়ে কথা বলা এক ধরণের বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক বলেও উল্লেখ করেন মনোবিদেরা।