মহানগর ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই দেশের নানা প্রান্ত বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করেছে। চুক্তিভিত্তিতে দেশের তিন সামরিক বাহিনীতে যুবক-যুবতীদের নিয়োগ করা হবে। চুক্তিটি হবে চার বছরের। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই বিহারের (Bihar) একাধিক স্টেশনে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রেলের। যার দরুন এবার পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিহারের রেল পরিষেবা। শনিবার সকাল ৮টা থেকে সেরাজ্যে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।
সূত্র অনুযায়ী, রাত আটটা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিহারে। এরপর রবিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পরিষেবা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের ঘোষণা করতেই দেশের নানা প্রান্তে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার মধ্যে বিহার একটি। একাধিক স্টেশনে জ্বলে ওঠে ক্ষোভের আগুন। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি। এমনকি ক্ষতি হয়েছে ট্রেনের যন্ত্রাংশেরও। বিহারের লখিসরাই ও আরা স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনের দুটি কামরায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। আবার মোহিউদ্দিন নগরে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি কামড়াতে ধরিয়ে দেয়া হয় আগুন। ভাঙচুর করা হয় ট্রেনের জানলা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। আহত হয়েছেন বহু পুলিশকর্মী।
আরও পড়ুন: টার্গেট ২০২৪, চালু নয়া কর্মসূচি ‘একডাকে অভিষেক ‘
তবে শুধু বিহারেই নয় এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও ঝাড়খণ্ডের মত একাধিক রাজ্যে। এমনকি এর আঁচ পড়েছে বাংলাতেও। হাওড়া থেকে বাতিল করা হয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত, ট্রেন চালানোর ঝুঁকি নিতে পারছে না কেউই। এরমধ্যে বিহারে পুরোপুরি ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায়, হয়রান হচ্ছে সাধারণ মানুষ।