মহানগর ডেস্কঃ টানা দু’ দুটো বছরের মন্দা কাটিয়ে এই বছরের দুর্গা পুজো স্বমহিমায় ফিরেছে। উৎসবের আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হয়নি এই বছরে। প্রাণ ভরে আন্নদে মাততে প্রস্তুত ছিলেন বাঙালিরা। পুজোকে ঘিরে বাঙালির এই উন্মাদনা বাংলার অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার বিকেলে ইকো পার্কের বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চলতি বছরে উৎসবের মরশুমে ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।
বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত হয়ে জানিয়েছে, বাংলার দুর্গাপুজো কেন্দ্রিক ব্যবসা ৫০ হাজার কোটি টাকার সীমা ছুঁয়েছে। তাঁদের দাবি, অন্যান্য বছরের ব্যবসার অঙ্ককে ছাড়িয়ে গিয়েছে এই বছরের পুজো। প্রায় তিন লক্ষ মানুষের রুটিরুজির ব্যবস্থা করে দিয়েছে বাংলার সেরা উৎসব।
রাজ্যে পুজোর সংখ্যা প্রায় ৪৫০০০। তার মধ্যে চার হাজারেরও বেশি পুজো কলকাতা এবং শহরতলির বুকে। পুজো কমিটিগুলোকে ৬০০০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল টানা দু’ বছরের উৎসব করতে না পারার রেশ। সব মিলিয়ে এই বছরের পুজো গত দু বছরের মন্দাকে কাটিয়ে দিয়েছে অনেকটাই। প্রতিমা, প্যান্ডেল বা পুজোর সঙ্গে যুক্ত সবরকম ব্যবসাতে গত দু বছরে যেভাবে মন্দা দেখেছিল, তা কাটিয়ে উঠতে পারা গেছে বলে দাবি করছে পুজো কমিটিগুলো। জামাকাপড়, জুতো, হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহণ সর্বত্রই ব্যবসা ভাল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আই আই টি খড়গপুর, ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ইংল্যান্ডের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ এক সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৯ সালের থেকে ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলার অর্থনীতি। পাশাপাশি দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে ৩ লক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও জানাচ্ছে পরিসংখ্যান। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় বাংলার দুর্গাপুজো কেবল আনন্দ-উল্লাসের নয়, বিশাল অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের উৎসবও বটে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টা জানিয়ে বলেন রাজনীতি খুব ভাল। নেতিবাচক রাজনীতি ভাল নয়। বিরোধীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাঁদের সুস্থতা কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।