মহানগর ডেস্ক: পশ্চিম নেপালে বড় মাপের ভূকম্পের পর উত্তরাখণ্ডে ভূকম্পের হানা (Earthquake)। এখানেই শেষ নয়, বড় বিপর্যয়ের (Major Attack) আশঙ্কা হিমালয় সন্নিহিত এলাকাগুলিতে। বিজ্ঞানীদের হুঁশিয়ারি, এরপর আরও ভয়ঙ্কর ভূকম্পের কবলে পড়তে পারে ওই অঞ্চলগুলি। ভূকম্পের জেরে মানুষের জীবন ও সম্পত্তিতে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভালোরকম প্রস্তুতি না নিলে বড় মাপের বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে উত্তরাখণ্ড-সহ হিমালয়ের আশপাশের অঞ্চলগুলি (Preventive Measure)। নেপালে ৬.৬ মাত্রায় ভূকম্পের পর বুধবার সকালে উত্তরাখণ্ডে ভূকম্প অনুভূত হয়। নেপালে সম্পত্তি ধ্বংসের পাশাপাশি ছজনের মৃত্যু হয়।
ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান জিওলজির সিনিয়র জিওফিজিসিস্ট অজয় পাল জানিয়েছেন ভারতীয় ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সঙ্ঘর্ষে হিমালয়ে ভূকম্প হানা দেয়। তাঁর কথায়, ভারতীয় প্লেটে ইউরেশিয়ান প্লেটের ক্রমাগত হানায় তৈরি হওয়া প্রচণ্ড চাপ সময়ে সময়ে ভূমিকম্পের আকার নেয়। জানান, তবে এ ধরণের ঘটনা স্বাভাবিক এবং নিরন্তর তা ঘটে চলে। গোটা হিমালয় সন্নিহিত অঞ্চল ভূকম্পের প্রবণতায় অত্যন্ত অশান্ত। এ ক্ষেত্রে বড়সড় ভূকম্পের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে ওই এলাকার যে কোনও জায়গায়। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা সাত বা তারও বেশি হতে পারে। তবে কবে কখন দুটি প্লেটের সঙ্ঘর্ষে তা হতে পারে, তা আগাম বলা সম্ভব নয়। এটি পরের বার হতে পারে বা পরের মাসেই আঘাত হানতে পারে। আবার একশো বছর পরেও ঘটতে পারে। গত দেড়শো বছরে হিমালয় সন্নিহিত অঞ্চলে চারটি বড় মাপের ভূকম্পের ঘটনা ঘটেছে। ১৮৯৭ সালে শিলংয়ে হানা দেয় বড় মাপের ভূকম্প, ১৯০৫ সালে কাংরায়, ১৯৩৪ সালে বিহার-নেপাল সীমান্তে এবং ১৯৫০ সালে অসমে। তবে এই তথ্যের ভিত্তিতে ঘন ঘন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস নিয়ে কিছু বলা যায় না। ১৯৯১ সালে উত্তর কাশী, এবং তারপর ১৯৯৯ সালে চামোলি এবং ২০১৫ সালে ভূকম্প হয়।