মহানগর ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর সরকারের আমলে বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব। বেড়েছে রোজগার জিনিসপত্রের দাম। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ। সম্প্রতি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর মোদি সরকারের (Modi Government) জিএসটি চাপানোয় সরব হয়েছিলেন অনেকেই। এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু (Kaushik Basu)।
ভারতের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা টুইট করেন, “বর্তমানে ভারতের মূল্যবৃদ্ধি (৭.০১%} যন্ত্রণাদায়ক হয়ে উঠেছে। এর সঙ্গে যুব সমাজের বেকারত্ব বাড়ছে। যে হারে (২৮ .৩%) বেকারত্ব বেড়েছে তা, কল্পনারও বাইরে। এদেশের গর্ববোধ করার অনেক জিনিস রয়েছে। কিন্তু এগুলি গর্বের বিষয় হতে পারে না। চাষি এবং শ্রমিকের আয় কমছে। এই বাস্তব থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকলে, কোনও লাভ নেই”। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৌশিক বসুর এই টুইট বিরোধী পক্ষের মন্তব্যকে আরও জোরদার করে তুলেছে।
মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্বের বাস্তব চিত্রকে আড়াল করতে চাইছে বলে, অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন অর্থনীতিবিদ। উল্লেখ্য, বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন গ্রান্ড ওল্ড পার্টির নেতৃত্বরা। বারবারই এই ইস্যুতে তাঁরা আলোচনা করতে চেয়েছেন। সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী এবং শিবসেনার দুই সাংসদ লোকসভায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে কী ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার? সেখানে রামেশ্বর তেলির দাবী ছিল, বিগত বছরগুলির থেকে ২০২০-২১-এ দেশে বেকারত্বের হার কমেছে।
তাঁর বক্তব্য, ২০১৮-১৯-এ দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৮%। পরবর্তীতে তা কমে হয়েছে ৪.৮%, আর ২০২০-২১-এ তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.২ শতাংশে। যদিওবা এর মধ্যে যুবসমাজের বেকারত্বের হার আলাদা করে উল্লেখ করেননি তিনি।
তবে এদিন কৌশিক বসুর টুইট সরকারের পেশ করা পরিসংখ্যানকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনোমিকের তথ্য বলছে, ভারতে যুব সমাজের মাত্র ৩৫.৮% কাজ পেয়েছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান বলছে, বেকারত্বের হার প্রায় ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে জিনিসপত্রের দামও ঊর্ধ্বমুখী। প্যাকেট জাতীয় লেবেল সাঁটা জিনিসপত্রে বসেছে জিএসটি। নাজেহাল অবস্থা আমজনতার। এই আবহে বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তার টুইটে নয়া বিতর্ক তৈরি হয়েছে।