মহানগর ডেস্ক: এবার গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। গোটা প্রতারণা চক্রে জুড়ে গত দুই বছর ধরে আজ পর্যন্ত লেনদেনের পরিমাণ ৭,৩৪৩ কোটি টাকা। আদালতে ইডির আইনজীবীর দাবি, টাকা দ্বিগুণ করার নামে একাধিক ব্যক্তিদের থেকে টাকা নেওয়া হত। এমনকী বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গেও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে আমিরের বিরুদ্ধে। আর এর অধিকাংশ লেনদেন হয়েছে ক্রিপ্টো কারেন্সির মাধ্যমে বলে দাবি।
কিছুদিন আগেও ইডি দাবি করে, এখনও পর্যন্ত আমির খানের ৭০০ কোটিরও বেশি টাকা ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগের মাধ্যমে ঘুর পথে সাদা করা হয়েছে। একটা-দুটো নয়, আমির খানের প্রায় তিনশোটি অ্যাকাউন্ট থেকে রুমেন আগরওয়ালের অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে সাড়ে তিনশো কোটি টাকা লেনদেন করেছে বলে জানতে পেড়েছে ইডি। ইডির দাবি, আমির খানের গেমিং অ্যাপের টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭০০ কোটি টাকারও বেশি। ক্রিপ্টোর মাধ্যমে এই টাকা কোনও সংস্থার শেয়ারে লগ্নির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হয়। সেই গোটা জালিয়াতি চক্র চালানোই হত নির্জন কেইম্যান দ্বীপ থেকে।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত ই–নাগেটস প্রতারণা কাণ্ডে ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ফ্রিজ করেছে ইডি। আর্থিক তছরূপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় প্রায় ১৮ কোটি নগদ ছাড়াও ১২ কোটি ৮৩ লক্ষ টাকা মূল্যের বিটকয়েন, আমির ও তার সহযোগীর অ্যাকাউন্টে থাকা ৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকাও ফ্রিজ করা হয়েছিল। এদিকে গেমিং অ্যাপ কাণ্ডে দেশে ও বিদেশের ১৬০০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা খানের ৩২ কোটি টাকা ফ্রিজ করেছে লালবাজার।