মহানগর ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শাসকদলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য সহ সকলেই এই মুহূর্তে শ্রীঘরে। বারংবার জামিনের আর্জি জানিয়েও মুক্তি পাননি পার্থ, মানিকরা। আর এই সবের মধ্যেই নতুন অভিযোগের মুখোমুখি দুই হেভিওয়ে্ট নেতা।
অনলাইনে পড়ুয়া ভর্তি করতে বেসরকারি বি এড এবং ডিএলএড কলেজগুলি থেকে যেমন নেওয়া হচ্ছিল কোটি কোটি টাকা, তেমনই বেসরকারি আইন এবং ফার্মেসি কলেজ থেকেও একইভাবে নেওয়া হচ্ছিল টাকা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এবার এমনই অভিযোগ উঠল। ইডি অর্থাৎ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তীর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের দিকে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে দাবি করা হয়েছে, তদন্ত চলাকালীনই মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করে মিলেছে এই তথ্য। মানিকের বয়ান অনুযায়ী এই দুর্নীতিতে জড়িত আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ইডির মামলায় বুধবার বিচার ভবনের সিবিআই বিশেষ আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি হয়। তখনই পার্থর বিরুদ্ধে বেসরকারি আইন ও ফার্মেসি কলেজ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন ইডি আধিকারিকেরা।
পার্থ – অর্পিতা মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জ শিট জমা দেওয়া হয়েছে ইডির তরফে। চার্জ শিটের সঙ্গে জমা করা হয়েছে ১৪০০০ নথিও। বুধবার পার্থর আইনজীবি আদালতে দাবি করেন, তদন্তে কোনও অগ্রগতি নেই। উঠে আসেনি নতুন কোনও তথ্যও। ইডি সম্প্রতি মামলার যে নথি জমা দিয়েছে, তার অধিকাংশ জায়গা অস্পষ্ট। তবে এদিন পার্থ-র আইনজীবি দ্বারা প্রাক্তন মন্ত্রীর জামিনের জন্য পুনরায় কোনও আবেদন আদালতে জানানো হয়নি।