মহানগ্র ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন পত্র, ভাবা যায়? সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপ ক্রিয়েট করে চলছে এই বেআইনি কাজ । QR এর মাধ্যমে হচ্ছে পেমেন্ট । এই খবর সামনে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পরীক্ষার শুরুতেই প্রশ্নপত্র লিক হওয়ার কথা সামনে আসার পর শিক্ষা পর্ষদ করা পদক্ষেপ নেবে এমনটাই বলেছিল । কিন্তু সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, হাতে লেখা বাংলা প্রশ্ন বেশ কয়েকজনের কাছে এর আগে বিক্রেতা বিক্রি করেছিল, এবার অভিযোগ উঠল ইংরাজী সহ অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্নপত্র নিয়ে, উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন পত্র বিক্রির দরদাম চলছে । টাকার জন্য QR কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। আসল প্রশ্নের নমুনা হিসাবে কিছুটা দেওয়া হচ্ছে, তা আবার পাঠানোর কিছু সময়ের মধ্যে প্রশ্নের ছবি দ্রুত ডিলিট করা হচ্ছে । গ্রুপ চ্যাটের স্ক্রীন রেকর্ড সহ শনিবার রাতে রায়গঞ্জ থানার দারস্থ হয় কয়েকজন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী । পরীক্ষার্থীরা জানান, গ্রুপের নাম দেওয়া হয়েছে মাস্টার মাইন্ড। আর সেই মাস্টার মাইন্ডের দাবী তাকে পুলিস প্রশাসন কেউ আটকাতে পারবে না। এমনি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে । সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এসে এই সব বিষ্ফোরক অভিযোগ যেই সকল পরীক্ষার্থীরা করেছিলেন, তাঁদের শর্ত ছিল জনসমক্ষে জেন তাঁদের নাম না আসে । অভিযোগকারীদের রায়গঞ্জ থানার আধিকারিকরা, রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। কথামত ওই অভিযোগকারীরা শনিবার রাতেই রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দুরের সাইবার ক্রাইম থানাতে গিয়ে অভিযোগ জমা দেয়, পরীক্ষার্থীরা যাতে সকলে স্বচ্ছভাবে বা প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে পারে তাঁর জন্য।
তবে, রায়গঞ্জ থানার পরামর্শ দেওয়া নিয়ে সেখানকার এলাকাবাসির মধ্যে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠেছে যে, অত রাতে অভিযোগকারী নাবালিকা ছাত্রীদের রায়গঞ্জ সাইবার ক্রাইম যাওয়ার পরামর্শ তাঁরা দেন কি ভেবে? উত্তর দিনাজপুরের উচ্চমাধ্যমিকের জয়েন্ট কনভেনার ডঃ সুব্রত সাহাকে, উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের কথা বা বিক্রির কথা যখন সাংবাদিকরা এই সব ঘটনা নিয়ে ঘটনা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো পর্ষদকে বদনাম করার জন্য করা হচ্ছে’ এই বলে তিনি জানান উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে সবটা জানাবেন বলেছেন, এর পাশাপাশি পড়ুয়াদের পরীক্ষায় মনোনিবেশ করার পরামর্শ দেন । সকল পরিক্ষার্থীকে ভালো ভাবে পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে, শুভ কামনা জানান ।