মহানগর ডেস্ক: ৮০ দিনের মাথায় আজ প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফল। ৯ লক্ষের বেশি পড়ুয়া পরীক্ষা দিয়েছিল। এবারে পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। চলতি বছরে মাধ্যমিকে ছেলেদের থেকে মহিলা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল বেশি। পরীক্ষা হয়েছিল ৭০০ নম্বরের মধ্যে। জানেন কি ৭০০-এর মধ্যে ঠিক কত নম্বর পেলে জীবনের প্রথম বড় বোর্ডের পরীক্ষায় পাশ করা যায়। জেনে নিন তাহলে…
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হতে নম্বর পেতে হয় ন্যূনতম ২৫ শতাংশ । অর্থাৎ একজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে পাশ করতে হলে ন্যূনতম ১৭৫ নম্বর পেতে হবে।
উল্লেখ্য, এবারে পরীক্ষা দিয়েছিল ৯ লক্ষ ১০হাজার ৫৯৮জন পরীক্ষার্থী। গতবারের তুলনায় বেড়েছে পাশের হার। পাশ করেছে ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৫২ জন ।শতাংশের হিসেবে এবার প্রতি ১০০ জনে উত্তীর্ণ হয়েছে৮৬.৩১ জন। ২০২৩-এ যা ছিল ৮৬.১৫ শতাংশ। জেলাভিত্তিক পাশের হারে এবার প্রথম স্থানে রয়েছে কালিম্পং। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা।র্ষদ সূত্রে জানা যাচ্ছে, এবারের মাধ্যমিকের মেধা তালিকার প্রথম ১০-এ রয়েছেন ৫৭ জন পড়ুয়া। মেধা তালিকায় সবচেয়ে বেশি জায়গা পেয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ছেলে-মেয়েরা। এই জেলা থেকে রয়েছে ৮ জন। এছাড়া দক্ষিণ দিনাজপুর, পূর্ব বর্ধমান ও পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৭ জন, বাঁকুড়া, মালদা ও পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, বীরভূম থেকে ৩ জন ও কোচবিহার ও হুগলি থেকে ২ জন পড়ুয়ারা মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে। মেধা তালিকায় রয়েছে কলকাতার মাত্র ১ জন পড়ুয়া। হাওড়া ও পুরুলিয়া থেকেও একজন করে পড়ুয়া মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে। এবারের মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪১১ জন, যা ১২ শতাংশের বেশি।
চলতি বছরের মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের চন্দ্রচূড় সেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩।দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পুরুলিয়া জিলা স্কুলের সাম্যপ্রিয় গুরু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে মোট ৩ জন। এদের মধ্যে রয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট হাইস্কুলের উদয়ন প্রসাদ, বীরভূম নিউ ইন্টিগ্রেডড হাইস্কুলের পুষ্পিতা বাঁশুরি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের নৈঋত রঞ্জন পাল। এদের প্রত্যেকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১।মাধ্য়মিকের মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে কামারপুকুরের রামকৃষ্ণ মিশন মাল্টিপারপস স্কুলের ছাত্র তপজ্যোতি মণ্ডল। ৯৮,৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে সে। অর্ঘ্যদীপ বসাকের নাম রয়েছে পঞ্চম স্থানে। পূর্ব বর্ধমানের পারুলডাঙা নসরতপুর হাইস্কুলের এই পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৯। যা ৯৮.৪৩ শতাংশ।