মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনেও রোজের মতো যানজটে রাস্তা বন্ধ। এই অবস্থা থেকে বাদ গেলো না ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। যানজটের কবলে পরে বহু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ছেড়ে গ্রামীণ রাস্তা ধরে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছল দৌড়ে। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় যানজট রুখতে নির্দেশিকা জারি করেছিল প্রশাসন।তা যে কাজে আসপনি, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের যানজট সেটা প্রমাণ করে দিল। পুলিশ ও প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে তাই উঠছে প্রশ্ন।
এই সমস্যা হয় মালদহের ১৬ মাইল থেকে কালিয়াচক পর্যন্ত রাস্তা জুড়ে। ১৬ মাইল থেকে সুজাপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ধরে পুরনো ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বা বর্তমানে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক জাতীয় সড়কের সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ১৬ মাইল থেকে কালিয়াচক পর্যন্ত অংশটির রাস্তা খুবই সংকীর্ণ । তার উপরে রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজের জন্য রাস্তার দু’ধারে জমে রয়েছে বালি, পাথরকুচি, মাটি। তার উপরে রাস্তার উপরেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে ভারি রোলার ও অন্য যন্ত্রগুলিও। তবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দাবি, এখানে কাজ হচ্ছে রাতের বেলা। কিন্তু চালক ও নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, সারা দিনই দুর্ভোগ বজায় থাকছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারের এই সমস্যা সমাধানের আগাম ব্যবস্থা করা উচিত ছিল, তা করেনি। পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় থাকা উচিত ছিল, তা হয়নি। তার ফলে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে এই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। এর ফলে যানজট হচ্ছে, তার জন্য বাড়তি উৎকণ্ঠা তৈরি হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। রাস্তা মেরামতির কাজ মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক পুলিশই বা এই সময় বেশি করে রাস্তায় নামল না কেন, উঠছে সেই প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক আশিস চৌধুরীর জানান, ‘‘পরীক্ষার সময়ে যাতে রাস্তা যানজট মুক্ত থাকে, তার জন্য প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। এখন কেন যানজট হচ্ছে, তা আমি বলতে পারব না।’’ মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যানজট মেটাতে বিভিন্ন মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে, তারপরেও কেন যানযট হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাস্তা সংস্কারের এই কাজ শেষ হতে জুলাই মাস হয়ে যাবে।