নিজস্ব প্রতিনিধি: কোচবিহারের শীতলকুচির ঘটনার অডিয়ো টেপ-কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের মধ্যে কথোপকথনের ওই রেকর্ডিং ফাঁস করে বিজেপি। তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টার অভিযোগ তোলে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।
শীতলকুচির ঘটনাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। একই সঙ্গে তাঁদের অভিযোগ, এই ঘটনা তুলে ধরে ভোটের প্রচারে ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। শীতলকুচির ঘটনার তদন্তে সিট গঠনের আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশকে দলদাসে পরিণত করার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার অভিযোগ, ‘আগাগোড়া রাজ্যের পুলিশ, প্রশাসনিক কর্তাদের দলদাসে পরিণত করেছিল তৃণমূল। আর আজ বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কর্তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।’
অন্যদিকে, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে টুইট করেও বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূল। টুইটারে লেখা হয়, ‘কেন্দ্র কি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর ফোনের ব্যক্তিগত কথোপকথন ট্যাপ করেছে? একজন মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পরিসরে অনুপ্রবেশ করার ও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করার বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’ এই অভিযোগ অবশ্য যা উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপ করেনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
এবিষয়ে এদিন বাংলায় প্রচারে এসেও মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর কথায়, ‘কয়েকদিন ধরে দিদির মধ্যে অসংবেদনশীলতা দেখেছি। কোচবিহারে যা হয়েছে, তা নিয়ে কাল একটা অডিয়ো টেপ আপনারা শুনেছেন। ৫ জনের মৃত্যুর পর দিদি রাজনীতি করছেন। সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছে ওই অডিয়ো টেপ। লাশ নিয়ে রাজনীতি দিদির পুরনো অভ্যেস। ফোনে দিদি কোচবিহারের টিএমসি নেতাকে বলছেন মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করো। নিহতদের মৃতদেহ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দার কথা ভাবছেন দিদি।’