মহানগর ডেস্ক: ইস্তফা দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে বিহারে অবসান ঘটল এনডিএ জমানার।
ইস্তফা দেওয়ার পর মুহুর্তেই বিহারের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর দলের সব সাংসদ এবং বিধায়ক একসঙ্গে এনডিএ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁর পদত্যাগ মানেই ভেঙে গিয়েছে গোটা মন্ত্রিসভা। যেখানে ছিলেন ১৬ জন বিজেপির মন্ত্রীও। পদ হারালেন তাঁরাও।
গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতীশ কুমার অনুপস্থিত থাকার পরই জেডিইউ এবং বিজেপির মধ্যেকার ফাটল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। আজ সকালে দলীয় সাংসদ এবং বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন নীতীশবাবু। তারপরেই রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চান তিনি। অন্যদিকে কংগ্রেসের অজিত শর্মা মন্তব্য করেন, যদি নীতীশ কুমার আমাদের সঙ্গে আসেন তাহলে তাঁকে স্বাগত জানানো হবে।
মহারাষ্ট্রের আদলে এবার পালাবদল বিহারে। তবে এবার পরিস্থিতি উল্টো। বিজেপির সঙ্গ ছাড়ল জেডিইউ। প্রশ্ন উঠছে, তবে কী কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় থাকবেন নীতীশ কুমার? সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁর হাতে থাকবে স্বরাষ্ট্র দফতর। আরজেডি সূত্রে, ২০১৫-র মতোই ১৫ জন মন্ত্রী পেতে পারে আরজেডি। স্পিকার পদে বসতে পারেন কংগ্রেসের নেতা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন সরকার গঠনের ফর্মুলা তৈরি হয়ে গিয়েছে।