মহানগর ডেস্কঃ ‘আহারে জীবন আহা জীবন জলে ভাসা পদ্ম জীবন’- প্রিয় জনের মৃত্যুর শোক দমাতে পারেনি। জন্ম-মৃত্যুর খেলায় বেঁচে থাকে শুধু শিল্পীরসত্তা। প্রকৃতির কাছে থেকে যায় শুধুই গ্রহণযোগ্যতা। কেবল সেলুলয়েডের পর্দায় থেকেও যে এতটা ভালোবাসা পাওয়া যায় ইরফান না থাকলে বোধহয় বোঝা যেত না। হ্যাঁ সত্যিই তিনি আছেন। তাইতো আজ নতুন বছরের সপ্তম দিনে তাকে নিয়ে এত লেখালেখি, এত বলা। আজ ইরফান খানের জন্মদিন।
ছুটির দিনেই একদম চুপিসারে জীবনের খাতা থেকেও নিজের নামটা বাদ দিলেন নক্ষত্র। মায়ের মৃত্যুর তিনদিন পর ভর্তি হন হাসপাতালে। মহামাররির অকল্যানে অভিমানে মাকে হারিয়ে নিজেও পারি দিলেন ঈশ্বরলোকে। ১৯৬৭ সালের ৭ই জানুয়ারি জয়পুরের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইরফান খান। দুরারোগ্য ব্যাধি সময়ের আগেই থাবা বসায় অভিনেতার শরীরে। বেঁচে থাকলে হয়তো ৫৭টি বসন্তের ভাঙা গড়া দেখতো বলিউড। কারণ অভিনয়ের বাধাঁধারা ছকে কখনোই আবদ্ধ থাকতেন না ইরফান। দর্শক সবসময় তাকে পেয়েছে বিভিন্ন ভাবে এবং ভিন্ন আঙ্গিকে।
ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা দিয়ে শুরু। মুম্বই এসে টেলিভিশন করলেও পর পর অভিষেক ঘটে বড় পর্দায়। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পায় তাঁর প্রথম সিনেমা সালাম বোম্বে। আক্যাডেমি আয়য়ার্ড এর জন্য মনোনিত হয়। তারপর আর ফিরে থাকতে হয়নি। হাসিল, মকবুল, পান সিং থেকে পিকু খান স্যার এক চিরন্তন অধ্যায়। এপার বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে ডুব দিয়েছিলেন ওপরে। হুমায়ুন আহমেদের জীবনের ওপর তৈরী করা একটা ম্যুভি যা ভক্তদের মনে আজও দাগ কাটে ।ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কথা থেকে ওই সিনেমার ডায়ালগ্ আজও কানে বাজছে অনুরাগীদের।
২০১৮ সালে অভিনেতার শরীরে নিউরোএণ্ডক্রাইন টিউমার ধরা পড়ে। বিদেশে চিকিৎসা শেষ করে ফেরেন দেশে। শেষ করেন অসমাপ্ত কাজ আংরেজি মিডিয়াম। পৃথিবীর কাছে আমাদের প্রয়োজন কখনও ফুরায় না! যোগাযোগহীনত্ব যেন তৈরী না হয়”!