মহানগর ডেস্ক : চলে গেলেন সত্যজিৎ রায়ের চিত্রগ্রাহক সৌমেন্দু রায়। মৃত্যুকালীন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বহুদিন ধরে বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। জীবন- মৃত্যুর লড়াইয়ে হার মেনে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে নিজের বাড়িতেই অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আই মহান শিল্পী। তাঁর মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ টলিউড জগৎ।রূপকলা কেন্দ্রের সিনেম্য়াটোগ্রাফি বিভাগের প্রধান ছিলেন সৌমেন্দু রায়। সত্যজিৎ সহ বিভিন্ন পরিচালকের সঙ্গে কাজের সময়কার খুঁটিনাটি তথ্য সংবলিত ডায়েরি, কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যের কপি, শুটিং স্টিলের ডিজিটাল কপি তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ নামের একটি সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রয়াত শিল্পীর সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে পথচলা শুরু হিসেবে যোগ দেন সৌমেন্দু ৷ সেই শুরু ৷ এর পর একের পর হিট ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।সৌমেন্দু রায়কে 2012 সালে ‘বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার’ ও 2015 সালে ‘চলচ্চিত্র পুরস্কার (সারা জীবনের অবদান)’ প্রদান করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার । এ ছাড়াও তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ।সত্যজিৎ-সৌমেন্দ্যুর জুটির অটুট বন্ধন ছিল ১৯৯২ সাল পর্যন্ত। সত্যজিতের তিন কন্যা, অভিযান, চিড়িয়াখানা, গুপী গায়েন বাঘা বায়েন, অরণ্যের দিনরাত্রি-র মতো ছবির ক্যামেরার দায়িত্বে ছিলেন প্রয়াত সিনেমাটোগ্রাফার সৌম্যেন্দু রায়। সোনার কেল্লা, শতরঞ্জ কি খিলাড়ি-তেও সৌম্যেন্দুর কাজ দর্শক চিরদিন মনে রাখবে।