নিজস্ব সংবাদদাতা : সেরা অভিনয়ের খেতাবে এবার জাতীয় পুরষ্কার জিতে নিলেন দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু অর্জুন। পুষ্পা সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার ক্যাটাগরিতেই জাতীয় পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, তেলেগু সিনেমা ইতিহাসে এই প্রথম কেও জাতীয় পুরষ্কার পেলেন।
বৃহস্পতিবার ৬৯ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। আর সেইখানে অভিনয় সত্তার নিরিখেই জাতীয় পুরস্কার জিতে নিলেন তিনি। পুষ্পা সিনেমায় পুষ্পা রাজ চরিত্রটিকে দর্শকের কাছে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। আর ২০২১ সালে পুস্পা সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে চরম উন্মাদনার সৃষ্টি করে। সেই সময় যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই চরিত্রটি। তেলেগু সিনেমায় এ ধরনের এক্সপেরিয়েন্স খুব কম পাওয়া গিয়েছে বলে মনে করেছেন সিনেমা প্রেমীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার এই জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে আল্লু অর্জুন সেরা অভিনেতাদের মধ্যে নিজের জায়গাটি আরও শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছেন। ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমাটি একটি তেলেগু অ্যাকশন ড্রামা ছবি। সিনেমাটির পরিচালনা করেছিলেন সুকুমার। এই ছবিতে মুখ্য অভিনেতা ছিলেন আল্লু অর্জুন।তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন রশ্মিকা মান্দান্না। এই ছবি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে বিদেশেও এই ছবি খুব সাড়া জাগিয়েছিল সেই সময়।
ক্যারিয়ারের শুরুর প্রথম দিক থেকেই একের পর এক ছবির মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন আল্লু। প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় মাত্র ২০ বছর বয়সে। ২০০৩ সালে রাঘবেন্দ্র পরিচালিত গঙ্গোত্রী সিনেমাতে তিনি অসামান্য অভিনয় করেন। যদিও সেই সময় সেই সিনেমা বেশি জনপ্রিয়তা পায়নি। তারপর থেকেই নিজের অদম্য ইচ্ছা শক্তি ও সিনেমার প্রতি ভালোবাসা তাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়। আবার ২০০৪ সালের সুকুমার পরিচালিত আর্য সিনেমায় অভিনয় করে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার খেতাব জিতে নিয়েছিলেন তিনি। তারপর আসতে থাকে একের পর এক জনপ্রিয় ছবি। তার মধ্যে রেস গুরম, সার্রাইনডু, দেশামুদুরু, পারুগু, আর্য ২, বেদম অন্যতম। পরবর্তীতে তাঁর অভিনয় শৈলীর জন্য পাঁচটি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, দুটি নন্দী অ্যাওয়ার্ড, একটি স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড-সহ একগুচ্ছ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর আল্লু অর্জুনের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও খুব ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে আল্লুর বাবা জড়িয়ে ধরে রয়েছেন তাকে। সঙ্গে সেখানে উপস্থিত রয়েছেন তার বন্ধু মহল। এর আগেও ১৯৯৭ সালে তিনি জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন নাগার্জুন স্পেশাল জুরি ক্যাটেগরিতে। কিন্তু সেইবার এই পুরষ্কার জিততে পারেননি তিনি। তাই এইবার এই পুরষ্কার জিতে তেলেগু সিনেমাতে নতুন ইতিহাস রচনা করলেন তিনি।