মহানগর ডেস্ক : মেদ বিহীন, টিকটিকে পান পাতার মতো মুখ কার না পছন্দ। তবে এই মেদ জিনিসটা এত বেয়ারা যে যেতেই চায়না। পেটের মেদ হোক কিংবা মুখের হাজার চেষ্টা করেও যেন বলে ‘তোর সব চেষ্টাই জল ঢাললাম আমি’। পেটের মেদ না হয়, জামা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলেন। কিন্তু মুখের কোনায় যে মেদটা জমছে সেটা ঢাকবেন কী ভাবে?
থুতনির নিচে কিংবা দু গালে ঝুলে থাকা মেদ মুখের সৌন্দর্যটাই যেন নষ্ট করে দিচ্ছে। তাহলে উপায়? চিন্তা নেই। মেনে চলুন এই পাঁচটি সহজ টোটকা। তাহলেই দেখবেন মুখের মেদ ঝরে গিয়েছে হুহু করে।
মুখের ব্যায়াম : বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরের মতো মুখের পেশি আলগা হতে থাকে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যায়াম মুখের পেশিকে টানটান করতে পারে। গাল ফোলানো, মুখের চোয়াল বিভিন্ন দিকে বেকানো ,চোখের মণি চারদিকে ঘোড়ানো কিংবা থুতনির নিচের অংশ উপর দিকে হাত দিয়ে সামান্য ম্যাসাজ করে তোলা এই সব ব্যায়ামগুলি করে থাকেন মুখের মেদ ঝরাতে। আর এগুলি বেশ কাজেও দেয়।
জল : কথায় আছে যে কোন অসুখের একমাত্র ওষুধ হল জল। তাই যত বেশি জল খাবে ততই বেশি সুফল পাবে। শরীর থেকে মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রেও কিন্তু জল খাওয়া ভীষণভাবে দরকার। খাবার অন্তত ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস জল খেলে খিদের পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। আর বেশি জল খেলে বিপাক হারেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
মদ্যপান বর্জন: যদি সত্যি নির্মেদ চেহারা পেতে চান তাহলে কিন্তু ছাড়তে হবে মদ্যপান। কারণ দীর্ঘদিন মদ্যপান করলে খেয়ে এছাড়া শরীরের একাধিক অংশে মেদ জমা হতে শুরু করে।
পর্যাপ্ত ঘুম : প্রত্যেকদিন অন্তত সাত ঘন্টা ঘুমানো জরুরি। মনে রাখবেন শরীর চর্চা করছেন ডায়েট করছেন এদিকে পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছেন না তাহলে কিন্তু এতটুকু কমবে না শরীরের কোন অংশের মেদ। তাই সবকিছুর পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ ভাবে দরকার। কারণ ঘুমের ঘাটতি হলেই তা গিয়ে পড়বে হরমোনের ওপর। আর হরমোনের ভারসাম্য হলেই বাড়বে ওজন।
সোডিয়ামের মাত্রা কমান : যতটা পারবেন নুন বা অতিরিক্ত নুন খাওয়া কমান। অনেকেই আছেন পাশের পাশে সামান্য নুন নিয়ে খেতে বসেন। এই অভ্যেস কিন্তু ছাড়তে হবে। গবেষণা বলছে নুনের মধ্যে থাকা সোডিয়াম শরীরের মধ্যে যত বেশি পরিমাণ যাবে তত বেশি শরীরের স্থূলতা বাড়বে। তবে নুনের পাশাপাশি চিনির পরিমাণও কিন্তু কমাতে হবে। শুধু একমাস খাবারে নুন চিনি কম করে দিয়ে দেখুন। তফাৎটা নজরে আসবে ১৫ দিনেই।