মহানগর ডেস্ক : এই অক্টোবর মাসের শুরু থেকেই চলছে উৎসবের মরসুম। প্রথমে দুর্গাপূজা তার রেশ কিছুটা কাটতে না কাটতেই রাজ দীপাবলি পেরিয়ে এখন ভাইফোঁটা। স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া-দাওয়ার তালিকাটা প্রত্যেকদিনই নিত্যনতুন। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত মসলাদার খাওয়া তো রয়েছেই।
তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বাড়ির বদলে খাওয়া-দাওয়া টা বেশি হচ্ছে হোটেল রেস্তোরাঁতে। আর বাড়ির খাবারের সঙ্গে আকাশ-পাতাল তফাৎ থাকে রেস্তোরাঁর খাবারে। বাড়িতে যদিওবা একটু নিয়ম মেনে স্বাস্থ্য মেনে খাওয়া-দাওয়া হয়। হোটেলর ক্ষেত্রে সম্ভব নয়। আর যদি পেটের সামনে ইলিশ, চিংড়ি ,মাটন ,পোলাও সাজানো থাকে কারই বা স্বাস্থ্যের কথা মাথায় থাকে।
আর ঠিক এইসব কারনেই হজমের সমস্যা দেখা দেয় বেশি। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়ার ফলে ফ্যাটি লিভার বেড়ে যেতে থাকে। তাই যতই উৎসবের মরসুমে হোক নজর রাখতে হবে ফ্যাটি লিভারের দিকে। আর ঠিক সময় যদি এর চিকিৎসা না করানো যায় তাহলেই সমস্যা। ডায়েট মেনে চলতে হবে এক্কেবারে। না হলে সেখান থেকেই সিরোসিস অফ লিভারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বেড়ে যায় প্রাণ নিয়ে টানাটানির আশঙ্কা।
নানা কারণে লিভারে চর্বি জমতে পারে। অত্যধিক মাত্রায় অ্যালকোহল খেলে ,মসলাদার খাবার খেলে, অতিরিক্ত ওজন বা ডায়াবেটিস এর সম্ভাবনা থাকলে সেখান থেকেও জন্ম নিতে পারে ফ্যাটি লিভার। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে তেল জাতীয় খাবার একেবারে কম খেতে হবে। বাইরের খাবার যথাসম্ভব কমিয়ে দিন। আর প্রাণের প্রিয় মটনকে একেবারেই ছেড়ে দিন। ভালো-মন্দ কিছু খেতে ইচ্ছে হলে তা বাড়িতেই বানিয়ে নিন। নিয়ম করে নিজের জন্য ৩০ মিনিট বরাদ্দ রাখুন শরীরচর্চা কিংবা হাঁটার জন্য।