মহানগর ডেস্ক: অবশেষে মহারাষ্ট্রের মহানাটক অন্তিম পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। বিধান পরিষদে বিজেপির কাছে হেরে উদ্ধব সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde) সহ বেশকিছু বিধায়ক। সরকার টিকিয়ে রাখতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী (Maharashtra CM)। এবার জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই বসছে বিধানসভা। আগামীকাল বিকেলে হবে মহারাষ্ট্র সরকারের আস্থা ভোট।
মঙ্গলবার রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। সূত্র অনুযায়ী, আস্থা ভোটের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকের পরই বিধানসভার সচিবকে চিঠি লিখে বৃহস্পতিবার বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে জানা গিয়েছে, রাজ্যপালের নির্দেশের বিরোধিতা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে ঠাকরে শিবির। এদিকে শীর্ষ আদালত শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের জবাবদিহি করার সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি মিলতেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বদল আনার লক্ষ্যে নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। গতকালই দিল্লিতে বৈঠক বসেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। বৈঠকে শেষে মুম্বই ফিরে রাজভবনে যান শাহ, ফড়ণবীশ ও নাড্ডা।
আরও পড়ুন: ভারতে তালিবানগিরি চলতে দেবেন না মুসলিমরা, হুঙ্কার আজমির শরিফ প্রধানের
বিক্ষুব্ধ শিবিরের কথায়, সংখ্যালঘু হয়েছে ঠাকরে সরকার। তাদের দাবি, ৩৯ বিদ্রোহী সেনা বিধায়ক ছাড়াও ১০ জন নির্দল বিধায়ক তাদের সমর্থনে রয়েছেন। ফলে ২৮৭ আসনের বিধানসভায় এনডিএ জোটের ১১৪ জনের সঙ্গে আরও ৪৯ জন বিধায়ক যুক্ত হয়েছেন। সেদিক থেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর জোটে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২৪। তবে ঠাকরে শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্রোহী বিধায়কদের ২০ জন তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন। এই মুহূর্তে সকলের নজর রয়েছে আস্থা ভোটের দিকে।
অন্যদিকে জানা গিয়েছিল, গতকালই মুম্বই ফিরছেন শিণ্ডে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, রেডিসন ব্লু হোটেল ছেড়েছেন তাঁরা। তবে এই মুহূর্তে রয়েছেন কামাখ্যা মন্দিরে। আজ অর্থাৎ বুধবার দুপুরের মধ্যে সেখান থেকে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। এদিন শিণ্ডের কথায়, ‘মহারাষ্ট্রের শান্তি ও সুখের জন্য প্রার্থনা করতে এসেছি মন্দিরে। আগামীকাল ফ্লোর টেস্টের জন্য মুম্বই যাব’। বিগত দিনে ঝড় বয়ে গিয়েছে মারাঠা রাজনীতিতে। প্রতিমুহূর্তে নয়া মোড় নিচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। আগামীকালই যবনিকা পতন ঘটবে যাবতীয় জল্পনায়।